যে আলোতে নিজের, অন্যের ভিতরটা দেখা যায় তা হল অনুকম্পা। অন্যের দিকে ফিরলে অন্যকে দেখায়, নিজের মধ্যে ফিরলে নিজেকে চেনায়। না হলে, নিজের অহংকারের জুলুমে অন্যকেও মারি, নিজেও মরি। নিজের ভার লাঘব করলে অন্যের চলার পথে পাথর হই না, আর নিজের বুকের ওপর পাথর হয়ে বসি না।
এ অসম্ভব কাজটি সমবেদনাতে যে পরিমাণ সহজ, মমবেদনাতে ততোধিক কঠিন (না 'মমবেদনা' শব্দটা অভিধানে নেই। 'অসমবেদনা' বলা যেত হয়ত। কিন্তু 'অসম' তে 'মম'র পরিমাণ এ হেন মাত্রায় বেশি, তাকে মমবেদনাই বলা যায় বলে মনে হল)। সংসারে মমবেদনার মাত্রা কমলে, মম'র মাত্রাও কমে। চলতে ফিরতে কয়েক কিলো অহং ঝরে পড়ে। চলাটা বেশ স্বাস্থ্যকর ও জুতসই হয়ে ওঠে।
যদ্যপি, এই মমবেদনাটা ছেড়ে ওঠা অনেকটা শীতকালের সকালে কম্বল ছেড়ে ওঠার মত। ইচ্ছা করে উঠি উঠি। মন বলে আরেকটু....
কাজের বিশাল জগতে যখন নামা হল, দেখা গেল বেলা অনেকটা বয়ে গেছে। খানিকটা আক্ষেপ হয়....ইস্, আরেকটু আগে উঠলেই হত! বড় জগতে খানিক আগেই আসা যেত, নিজের ঘরের কোণটা ছেড়ে। তবু আসা গেলেই হল। আগে আর পরে!