Skip to main content

কুন্ঠিত


শুকনো বালিতে আছড়ে পড়ল ঢেউ
সন্ধ্যাকাশে ঘরে ফেরা পাখির ডানার আঁচড়
হাল্কা হাওয়ায় স্মৃতির পর্দার কেঁপে ওঠা
আনমনে ভুলে যাওয়া কথার কুন্ঠিত আসা
এক বিষন্ন ফেলে আসা সন্ধ্যের মুখোমুখি আমি
বললাম, কেমন আছো?
আমার সারা ঘরে অচেনা ফুলের চেনা গন্ধ ছড়িয়ে
তার উছলে উঠল চোখ

ভিজে হাতে না

ভেজা হাতে ছবি আঁকো কেন?
রঙগুলো সব ছড়িয়ে যায়!
দেখো সূর্য্যের গায়ে পড়েছে কালো রঙের ছিটে
বাচ্চাটার হাসিতে পড়েছে লাল রঙের দাগ
ওই যে গাছ এঁকেছো-
ওর সবুজ পাতায় হলুদ রঙের ছাপ

ছি ছি
মোছো তাড়াতাড়ি!
নতুন করে আঁকো
ভিজে হাতে না
হাত শুকিয়ে নাও আগে

ধর্ষণ


সন্ন্যাসীনী ধর্ষণ মর্মান্তিক না। বয়সটাও মর্মান্তিক না। মর্মান্তিক সমাজের অবক্ষয়টা। শরীরে ক্যান্সার হলে তার অনেক লক্ষণ ফুটে ওঠে। যেগুলো কদর্য, অসহনীয় হলেও মূল তো তারা নয়!

নতুন করে


রোজ কিছুটা রাস্তা একলা হেঁটে এসো
কারোর সাথে কথা না বলে
ফেরার জন্য তাড়া না রেখে
ফেরার পথকে রেখো 
                   চলার পথে গোপনে।

না-রাখা কথা


যখন কেউ কথা দিয়ে না রাখে
কষ্ট হয়, সবার যেমন হয়,
       এমনকি যে রাখেনি তারও হয়
মনে হয় তার পিছনে পিছনে হাঁটি
                         ছায়ার মত
সে থাকুক আপন মনে

আমি নোঙর তুললাম

আমি কি তোমার জন্য অপেক্ষা করব?
না, আর না
যে অপেক্ষা অপেক্ষাতেই শেষ হয়
আমি সে অপেক্ষার অপেক্ষায় থাকব না
আমি নোঙর খুললাম
তোমায় পেলাম না
না হোক কিছু দুর্যোগ পাক আমায়
কূল তুমি চিনতে, ধ্রুবতারাও তুমি জানতে
আমি কিছু চিনি না
আজ চেনার দরকারও নেই
চেনা সুখ থেকে অচেনা ঝড়
অনেক বেশি বাস্তব আমার কাছে

আমি ভাসলাম

দিগন্তরেখায়

তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে
সমুদ্রকে পিছনে রেখে দাঁড়িয়ে আছি
বহু শতাব্দী ধরে
পায়ের শিরা ফেটে রক্ত পড়েছে বালিতে
ধুয়ে নিয়ে গেছে সমুদ্রে
মুক্ত এসেছে ঝিনুকের খামে
ফিরিয়ে দিয়েছি
শুধু তাকিয়ে থেকেছি তোমার চোখে

সে আছে বলে


বুকের মধ্যে একটা স্পন্দন অনুভব করি। না, হৃৎযন্ত্রের না। তার চেয়েও গভীরে একটা কিছু। বেঁচে থাকার তাগিদ হয়তো। সে স্পন্দন খুব স্বতন্ত্র। আমার নিত্যদিনের যা কিছু, তা তার চোখ এড়ায় না। আমার একটা চিন্তাও তার অগোচর হয় না। সে আছে। তার এই থাকাটুকুতেই আমার প্রতিদিনের হওয়া। একটু একটু করে গড়ে ওঠা। হয়ে ওঠা।

ছল

ভেবেছিলাম তোমায় আমি দেব
আমার যা কিছু সব উজাড় করে

দিলাম তোমায় এমন কিছু
ভাবিও নি যা দিতে পারি
গর্বে মেতে ঘরে ফিরি
এমন দান পাও নি জীবন ভরে!

ঘরে এসে চমকে উঠি
সারা ঘরে একতিলও নেই স্থান
রাখি পায়ের পাতা
সবখানেতে তোমারই দানে ভরে!

শোনা- জানা

লোকটা কোনোদিন লঙ্কা খায় নি শুনেছিলো ঝাল
সে লঙ্কা দেখলেই বলত, উঃ কি ঝাল!

লোকটা কোনোদিন তেঁতুল খায় নি
শুনেছিল টক
সে তেঁতুল দেখলেই বলত, উঃ কি টক

লোকটা এই ভাবে করলা দেখলে বলত, ইস তেতো!
কুমড়ো দেখলে বলত, ইস মিস্টি!

তাকে একদিন বাজারে পাঠানো হল
বাজারে গিয়ে সে একসাথে সব দেখে ফেলল গুলিয়ে

Subscribe to