রথের দিন,
সাজো সাজো রব চারিদিকে।
কেউ গাঁথছে মালা, কেউ বাঁটছে চন্দন,
কেউ গাইছে ভজন, কেউ করছে নর্তন।
মালীর ছোট মেয়ে,
বছর আটেক হবে
বলে, নিজের গাঁথা মালাখানি
প্রভুর গলায় দেবে।
বাড়ির লোক কত বোঝায়
আরে আমরা যে জাত নীচু
বোঝায় যত বাড়ে জেদ
বলে শুনব না তো কিছু!
ফেলল মালা রাগের চোটে
পথের ধূলার পরে
খাব না আর, যাব না আর
থাকব ঘরে পড়ে।
রাজা চলেন মন্দিরেতে
সাথে ছোট্ট মেয়ে
কি সুন্দর মালা বাবা!
বলে ধূলার দিকে চেয়ে।
তুলল মালা ধূলা হতে
চলল মন্দিরেতে
প্রভু সেথায় বিরাজমান
ভক্ত প্রেমে মেতে।
এই মালাটা নাও না গো
পরাও ঠাকুরেরে
রাজার মেয়ে বলল গিয়ে
রাজ পুরোহিতেরে।
লগ্ন যখন হল
প্রভু এলেন চড়ে রথে
লোকালোক চারিধার
মালীও মেয়ে সাথে।
খুব বকবে ঠিক করেছে
আজ জগন্নাথেরে
কি দোষ তার মালায় শুনি
যে কণ্ঠে নেবে না তারে?
প্রভুর গলায় দেখে মালা
খুশীতে হল পাগল
ওই যে বাবা আমার মালা
বলে ছাড়ল হাতের আগল।
বাবা বলেন বোকা মেয়ে
ও সে মালা না!
মেয়ে বলে বুদ্ধু বাবা
প্রভুরে জিগাও না।