মরণ
চিরশুচি
ওরা বলল তোমায়
অশুচি
দুশ্চরিত্রা
লজ্জাহীনা
বাগান
সব বাগানের দরজায় তালা থাকে না
এমনকি সব বাগান পাঁচিলে ঘেরাও না
কিছু কিছু বাগান এমন আছে -
যেখানে ঘেঁটু ফুল সেজে
পারিজাত ফোটে গাছে
গেছি সে বাগানে বারেবারে সব ভুলে
মালির দু'হাত সুরভিত নানা ফুলে
সে বিনা দ্বিধায় দিতে পারে সব ফুল
তেমন তোমার নেওয়ার সাজি হলে
তোমার সাথে বারোমাস
মামু
সবাই আলাদা আলাদা শুয়ে
সবাই আলাদা আলাদা শুয়ে। কেউ কারোর পাশে নেই। শুকনো কিছু পাতা উড়ে বেড়ায় ওদের উপর দিয়ে। ওরা টের পায় না। মাটির কাছে থাকলেও চারদিকে তাদের অসংবেদনশীল আস্তরণ। তার উপরে আসা যাওয়ার তারিখ লেখা। তারাই কথা বলে এখন।
অজগর
তুমিও তাই বলবে?
যে রাস্তাটা অর্ধেক হেঁটে ফিরে গিয়েছিলে
আমি এখনো ঠিক সেখানেই দাঁড়িয়ে
দেখতে দেখতে কত কি পাল্টে গেল
কত কেউ এলো গেলো
আমি এক বিন্দুও নড়িনি
দেখো
অন্ধকারের রাজা
সাধ
বয়স্ক মানুষটার চোখ বোজার সময় এল
ছুটে গিয়ে দু'পা জড়িয়ে বললাম -
ওগো একটু দাঁড়াও। পুরোপুরি চোখ বোজার আগে বলে যাও, কি পেলে, কি বুঝলে এতবড় জীবনটায় বেঁচে?
সে হাসল। চোখের জল গাল গড়িয়ে পড়ল বালিশে।
সে বলল, পেলাম জীবন -
এক সমুদ্দুর দুঃখ, তাতে কয়েক ডিঙি সুখ