তবু শুধু ছুটতে হবে বলে
দৌড়ে কি হবে?
পরেশ সামন্ত "ধুর শালা, নিকুচি করেছে ঘুম" বলে উঠে পড়ল বিছানা ছেড়ে। বিছানায় ছারপোকা থাকলে মানুষ এমনিই দার্শনিক হয় - এমন একটা গভীর উপলব্ধি নিয়ে, ঘর্মাক্ত কলেবরটাকে ঘেমে যাওয়া বিছানা থেকে তুলে আবার বলল, শালা। মানদা ঘুমাচ্ছে। ঘুমাক। মূঢ় জীব!
রাস্তা
সেদিন দেখলাম
অমন ব্যস্ত রাস্তায়
ঝরে পড়ে আছে কতশত রাধাচূড়া
গতকালের ঝড়ে ঝরেছে নাকি
রাস্তা বলেনি ওদের,
"সরে যাও তোমরা, আমার যে কত কাজ!"
রাস্তা জানে
সময় হলে ওরা এমনিই যাবে মিলিয়ে,
ধুলোয়, ব্যস্ত অবহেলায়
টগরেশ্বরী
রবীন্দ্রনাথ ও স্প্যানিশ ফ্লু
রবি ঠাকুরের সময় এসেছিল স্প্যানিশ ফ্লু, ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সে দাপিয়ে বেড়িয়েছিল। ১৮ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিল শুধুমাত্র ভারতেই নাকি। রবীন্দ্রনাথ কিভাবে সামলেছিলেন? বিশ্বভারতী গড়ে উঠছে, হাজার একটা সমস্যা তো আছেই, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ইত্যাদি। তার মধ্যে এই অতিমারী।
একটা গল্প
আজ একটা গল্প মনে পড়ছে। আমি কলেজে শুনেছিলাম।
একটা প্লেন ক্র্যাশ হয়েছে। প্রাইভেট প্লেন। দেশের কোনো এক মন্ত্রীর প্লেন ছিল। যদিও কেউ মারা যায়নি, কিন্তু সবাই কোমায়। সুস্থ বলতে একমাত্র একটা শিম্পাঞ্জি, সেও ওই প্লেনেই ছিল।
মানুষ বাঁচে মনে
গতকালের কথা। দুপুর গড়িয়ে সদ্য বিকাল হয়েছে। এক বিশেষ দলের বেশ কিছু রাজনীতির মানুষ বাড়ি বাড়ি স্লিপ দিচ্ছেন। অবশ্যম্ভাবীভাবেই কারোর মুখে মাস্ক নেই। কারণ, "আমাদের এদিকে তেমন আসেনি"..."পকেটে আছে, এই খুললাম"..."গরম লাগে"...ইত্যাদি নানা ভ্যালিড কারণ তো আছেই। তাছাড়া কপালে থাকলে কে আটকাবে - এর থেকে বড় জীবন দর্শনই বা কি থাকতে পারে!
আকাশ মাটি বৃষ্টি আর ভালোবাসা
মিত্তির মশায় আলি সাহেবের কবরের সামনে এসে প্রায় প্রতি রবিবার বিকেলে বসেন। দুজনেই ছেলেবেলার বন্ধু, প্রাণের বন্ধু ছিলেন। কর্মসূত্রেও সারাটা জীবন কাছাকাছিই থেকে গেলেন। কিন্তু ভাগ্যের খেলায় আলি সাহেব চলে গেলেন মাত্র কয়েকদিন জ্বরে ভুগে। সবাই বলল, স্বাভাবিক সময়েই গেলেন। কিন্তু মিত্তির মশায়ের মন বলল, তাই কি? তবু মেনেই নিলেন, কারণ কথাটা সংসারের হিসাবে তো সত্যি।
প্রজ্ঞা
প্রশ্ন - পাণ্ডিত্য ও প্রজ্ঞার মধ্যে পার্থক্য একটি করিয়া বাক্যে বুঝাইয়া লেখ।
উত্তর - করোনা হইতে রক্ষা পাইতে ও অন্যকে রক্ষা করিতে মাস্ক পরিধান আবাশ্যক - ইহা জানার নাম পাণ্ডিত্য।
সঠিক সময়ে, সঠিক মাস্ক, সঠিক উপায়ে ধারণ করিবার অভ্যাসকে বলে প্রজ্ঞা।
নিরাপদ মানুষ
যে মানুষ বলে, আমি কাউকে ভয় করি না।
আমি তাকে ভয় করি।
যে মানুষ বলে, আমি অত্যন্ত কঠোর জীবনযাপন করি, এ আমার ধর্ম।
আমি তাকেও ভয় করি,
যে নিজের উপর কঠোর হওয়াকে গর্বের বলে জানে, সে অন্যের উপর নিষ্ঠুর হওয়াকে জানে দায়িত্ব বলে।
যে মানুষ বলে, আমি স্পষ্টবক্তা, আমি কোনো কথা রেখেঢেকে বলি না।