Skip to main content

বনসাই

এখন শোকে কেউ বিবশ হয় না
নিখুঁত নির্ভুল শব্দ চয়নে
    তাৎক্ষণিক শোকগাথা লিখতে
          শিখে গেছে শোকও
হৃদয় গভীর অরণ্য
     কেউ হারিয়ে যায় না
         সে অরণ্যেও ভিড় করছে
                  বনসাই

অনুভবটা বাস্তব

অন্ধকারে ভূত কল্পনা করে যেমন ভয় হয়,তেমনই এ বিশ্বসংসারের একজন চালক আছে কল্পনা করে ভক্তি হয়। 

    মজা হল, কল্পনাটা কল্পনাই, কিন্তু অনুভবটা তো বাস্তব। তাই অনুভবটা বাস্তব বলে মানুষ এরপর কল্পনাটাকেও বাস্তব বলে ভ্রমে পড়ে। ফলে ভগবান আর ভূত দুই-ই সত্যি হয়ে দাঁড়ায়। 

গোলমেলে নীতি

স্বয়ং রামচন্দ্র আড়াল থেকে তীর মেরেছিলেন। কিভাবে? না বালি সুগ্রীবকে তো একইরকম দেখতে। চিনতে পারছেন না। এদিকে সুগ্রীবের শর্ত যে পথের কাঁটা সরিয়ে দিতেই হবে, চুক্তি সেরকম। তখন চিনতে না পেরে কৌশল করে বালিকে বধ করা হল। কথা হল সুগ্রীব মালা পরে থাকবে। বালি পরবে না। 

পাখি ভালোবাসো বলে

পাখি ভালোবাসো বলে
     খাঁচা হতে গেলে কেন?

আকাশ হতে 
কে বারণ করেছিল তোমায়?

কখন মিলিয়ে গেছে রাজা!

সমস্ত আয়োজন সারা
    একশো আটটি স্বর্ণদীপে
        জ্বলজ্বল করছে কম্পিত শিখা
ঘন্টাবাদক, শঙ্খবাদক প্রস্তুত 
 নববেশে, 
    তরুণ অঙ্গের কি শোভা!
 স্নিগ্ধ দিব্য 
          ভাবগম্ভীর পরিবেশ হল সৃষ্টি

পায়ের ছন্দ

কে বলল
    সে শুধু আকাশ বেয়ে
         অদৃশ্য রাস্তায় আসে? 

খিড়কির দরজা দিয়েও আসে
     পায়ে কাদা লেগে থাকে 
     চিনতে পারো না তাই
          ফিরিয়ে দাও 
                  অবিশ্বাসে

হাস্পাতাল

সারা পৃথিবীতে একটা জায়গাতেই জাতি-ধর্ম-বর্ণ ইত্যাদির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে তর্ক হয় না, সেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেবলমাত্র মানুষের মঙ্গল নিয়েই এই নিয়ে আলোচনা, ব্যস্ততা - সে হল হাস্পাতাল।

এই বেলা?

ওই তো ক্ষুদে ক্ষুদে পা, বার পাঁচ ছয় ফেললেই ঝুলবারান্দাটা শেষ। বাচ্চাটা কি উন্মাদনায় সেইটুকুই প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে বিকেলে। আকাশে ওড়া কোনো বাড়ির সাদা পায়রাদের দেখছে, হাত নাড়ছে, আবার দৌড়াচ্ছে। সাদা মেঘে বিকেলের হলুদ আলো। নীড়ে ফেরা বকের দল। এলোমেলো বাতাসের নারকেল বন কাঁপিয়ে যাওয়া। দীঘির জলে ঢেউ তুলে যাওয়া। সব হচ্ছে। ওই তো রাস্তা দিয়ে একদল কুকুর দৌড়াচ্ছে। হেঁটে গেল কি বড় একটা

যদি পারো

জীবন তো পোষ্য নয় বলো
যে তাকে দরজার কাছে বেঁধে রাখবে
        একটা বিস্কুট কি মিষ্টি ছুঁড়ে দিলে 
        তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে 
                             লেজ নাড়বে

রবীন্দ্রনাথ

চন্দ্রিলের একটা ভিডিও খুব ভাইরাল এখন। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বলা কিছু কথা। একটা বিশেষ দিনের ঘটনার কথা বলেছেন চন্দ্রিল। কিভাবে একটা অত্যন্ত ক্লেশদায়ক, দুঃসহ, অসফল যাত্রার মধ্যেও রবীন্দ্রনাথ কিভাবে পাঁচটা গান লিখে গেছেন। অনেকেই দেখে থাকবেন ভিডিওটা। যারা দেখননি স্ক্রোল করতে করতেই পেয়ে যাবেন, এ তো ভ্যাক্সিন না যে আপনাকে আপাতত ষোলো হপ্তা অপেক্ষা করতে হবে প্রথম ডোজ নিয়ে।

Subscribe to