উঁচু পাতা থেকে বৃষ্টির জল বিন্দু বিন্দু নীচু পাতার বুকে এসে পড়ছে। নীচু পাতা একটু কেঁপে উঠে সে জলকে বুকে জায়গা দিয়ে স্থির হতে চাইছে। খানিক পরেই সে জল গড়িয়ে মাটিতে পড়ছে - বিন্দু বিন্দু। পাতা আটকাচ্ছে না। আকাশের দিকে তাকিয়ে সে, সেখানে মেঘের ঘনঘটা।
...

উঠান ঘেরা কয়েকটা বড় বড় গাছ। আম, জাম, কাঁঠাল। মাঝে একটা বাড়ি। দুটো বড় ঘর, একটা বারান্দা। টালির ছাদ। বাউলের বাড়ি।
      মদনপুর স্টেশানে বাউল বসে। ভীষণ অসুস্থ। পাড়ার একটা ছেলে পৌঁছে দিয়ে গেছে। টোটো করে। মানুষের উপর অগাধ বিশ্বাস বাউলের।
...

নিঃশব্দ শিশিরধারা
যেমন শুকিয়ে যাওয়াও নিঃশব্দে
      আড়ম্বরহীন, উদাসীন
...

সেদিন গ্রামের সবাই চুপ করেছিল সকাল থেকে। কারণ শেষ রাতে গ্রামের সবাই স্বপ্ন দেখেছিল, আজ কথা বলতে গেলেই সবাই সত্যি কথা বলে ফেলবে। না চাইলেও বলে ফেলবে।
      সারাদিন গ্রামে বাচ্চাদের চীৎকার, মুরগী-গোরু-মোষের ডাক ছাড়া কোনো কোলাহল ছিল না।
...

শিশির ভেজা ঘাসের উপর ছোটো ছোটো পায়ের ছাপ। শিউলি ছড়ানো এমন, যেন পায়ের ছাপের উপর আলগোছে কেউ রেখে গেছে, অঞ্জলির মত।
      দীর্ঘাকৃতি পুরোহিত ফুল তুলতে এসেছিল। কিছুক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে সে পায়ের ছাপগুলোর দিকে তাকিয়ে রইল।
...

যে মানুষটা রাত করে বাড়ি ফিরলে চিন্তা করত, ভীষণ বকাবকি করত, সে জানেই না সে শুয়ে আছে বিছানায় বছর দেড় হল। জেগে আছে কিন্তু জ্ঞান নেই। তার দুশ্চিন্তার কারণ যে মানুষটা সে সন্ধ্যেবেলা বাড়ি ফিরে আসে।
...

    চিঠি লেখা হয় না আজকাল ইত্যাদি কথা না। যে কথাটা রবীন্দ্রনাথের চিঠিপত্রগুলো পড়তে পড়তে বারবার মনের কোণায় এসে দাঁড়ায়, প্রশ্ন করে, তা হল এই কথাগুলো চিঠিগুলো না লেখা হলে কলমের মুখ অবধি আদৌ কি আসত?
...

রাত হয়েছে। রেল কলোনির ফাঁকা ফাঁকা রাস্তা। আমরা কয়েকজন মিলে সারাদিনের ক্লান্তিকর কাজের শেষে বেরোলাম চা খেতে। চায়ের দোকান বন্ধ, আজ যে বৃহস্পতিবার। তাতে কি, গল্পের দোকানে আঁচ চড়েছে ততক্ষণে। কথা ফুটছে টগবগিয়ে। সব কথাগুলো মানচিত্রহীন। এলোমেলো। আমাদেরই মত।
...

In the stormy gale,
While you were busy
Collecting dead leaves strewn all over,
I was busy
...

তুমি যখন তুমুল সে ঝড়ে
    ঝরা পাতার হিসাব রাখছিলে
...