Skip to main content

মার্জনা


সবচাইতে বড় আড়াল নিজের সাথে নিজের আড়াল। যে করেই হোক নিজের মুখোমুখি হতেই হবে। যা কিছু পাপ, তাকে মাথা নীচু করে স্বীকার করে, জোড় হাত করে নিজের অন্তর্যামীর সামনে হাঁটু গেড়ে বসতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে।
 

কেন বিশ্বাস করব?

কেন বিশ্বাস করব?
তোমার ছায়া আর তুমি ভিন্ন রাস্তায় হাঁটো।
পাতকুয়োতে বালতি ফেলে
বালতি তোলার কাঁটা খোঁজো নিজেই।
তোমার কথাগুলো ঝাঁঝরা ধরা এত-
'মানে' গুলো সব গলে গলে পড়ছে, বোঝো?
তোমার পায়ের শব্দে বেড়াল চমকে ওঠে
তোমার আশ্বাসে আমার নিউরোনগুলো
হাই তোলে আড়ামোড়া ভেঙে

এগিয়ে

জিভকে একটু বিরাম দাও
হৃদয়েরও কিছু বলার থাকতে পারে।

সব জানাশোনা ছেড়ে এগিয়ে যাও
অজানাতেও কেউ আপন থাকতে পারে।

সুচিত্রা ভট্টাচার্য্যকে

রাতে ভেবে রাখা ছিল,
আগামীকালকে কোন লাইনটা দিয়ে করবে শুরু?
মাথার মধ্যে ছিল,
কিছু না- বলা, খুব যন্ত্রণায় পোড় খাওয়া কিছু মুখ?
অনেক প্রশ্ন ভিড় করেছিল মাথার অলিতে গলিতে?
সমাজের সাথে হাত হাত রাখতে আরেকটা সাদা কাগজ ছিল -
কলমের দিকে চেয়ে?

জানি এর উত্তর পাওয়া সম্ভব নয়,
জানি আমাদের আসা যাওয়ার ধরা বাঁধা ছকে তো আর জীবন বাঁধা নয়!

আশ্বাস

প্রভু,
প্রদীপটা না নিভুক,
আমার হাতের আড়াল পাশে
তোমার হাতের পরশ রাখো।
ভয়ে কেঁপে কেঁপে ওঠা শিখা-
তাকে করূণা পদ্মে ঢাকো।

এমন শকতি নেই প্রভু নেই
যা কিছু সব আনি
অনেক প্রণামে স্বার্থ মিশেছে
প্রণত হওয়াকে দিয়েছে গ্লানি।

আশ্বাস দাও, ফিরাবে না আর
যত দোষ ত্রুটি থাক
করূণাধারার প্লাবনে হে প্রভু
চিত্তশুদ্ধি পাক।

বাঁক


যতবার ভাবি পৌঁছেছি এবার,
নতুন একটা বাঁক কাঁধে হাত রাখে।
সে পুরোনো হতে হতে
আবার মনে হয়
এই এই এই ছিল আমার পথ!
পেয়েছি অবশেষে!
ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখি সে উধাও।

চোখের সামনে আবার নতুন বাঁক।


(ছবিঃ সুমন দাস)

তুমিও জানো

অনেকটা পথ যেতে বাকি
তুমিও জানো
তবু কেন প্রতি পায়ের হিসাব রাখো

অনেক আরো সইতে বাকি
তুমিও জানো
তবু কেন সব ক্ষতকে জাগিয়ে রাখো

অনেক কিছু দিতে বাকি
তুমিও জানো
তবুও কেন কুড়িয়ে নুড়ি বেলা কাটো

অনেক কিছু ভাঙার বাকি
তুমিও জানো
তবুও কেন বালির ঘরে আগল ঘেরো

চোখ

চোখ না তো
ভলক্যানো

না ভলক্যানো না
শানানো ধারালো ছুরি যেন

না ছুরি না না
গিলেটিনের পাত যেন

না, তাও না, তাও না
গোলাপের কাঁটা যেন

কাঁটা বলব না গোলাপ?
তুমি বলবে প্রলাপ!

প্রলাপ না, প্রলাপ না - নেশা
চাবি হারিয়ে, ঘর হারিয়ে
এখন পাগল পাগল দশা

সুখ ও আনন্দ

আনন্দ আর সুখের পার্থক্যটা হল খোলা হাওয়া আর পাখার হাওয়ার মত।
 
পাখার হাওয়া পেতে আমার কিছু শর্ত আছে। একটা ঘর চাই, পাখা চাই, তার চাই, সুইচ চাই, সর্বোপরি বিদ্যুৎ চাই। তবে গিয়ে পাখার হাওয়া।
 
শুধু তাই না। পাখার নীচে যদি কেউ বসে, তাকে তাড়াবার কৌশলও ভাবতে হয়। সুখ এমন ধারাই। অন্যকে তাড়াতে চায়। না হলে তার নিজের ভাগে কম পড়ে।
 

Subscribe to