যে নামের মাহাত্ম্য
   প্রাচীন ঋষিচিত্ত উপলব্ধিগামী
      আত্মার মুক্তিহেতু জপিবারে 
           আছিল বিধান

মাত্র কদিনের পরিচয়
মাত্র এই কদিনেই তোমায় ভালোবেসে ফেললাম
বন্যায় গাছপালা বাড়িঘর 
   ভেসে যেতে দেখেছি টিভিতে
   এইবার নিজেকে ভেসে যেতে দেখলাম
      হৃদয়ে 
সারাক্ষণ কেমন যেন 
   মন খারাপ খারাপ লাগা
যেন গ্রীষ্মের দুপুরে বন্ধ পাখার দিকে তাকিয়ে

- গোনাড মানে কি স্যার?

- গোনাড মানে জানো না, তুমি না মাধ্যমিক দেবে এই বছর? গো মানে কি?

রেনকোটটা সুদীপ নিজেই বার করে সুশান্তকে দিয়েছিল। সুশান্ত বেরোতে যাবে হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি নামল। সন্ধ্যে থেকে বোঝাই যায়নি যে আকাশে এমন মেঘের জট পাকিয়েছে। তখন কটা হবে, দশটা, সাড়ে দশটা হবে। সুশান্ত বাইক নিয়ে সুদীপের রেনকোট গায়ে দিয়ে বেরিয়ে গেল। ওর আজ নাইটশিফট, যেতেই হবে। নইলে থেকেই যেত। ও রেনকোটটা নিতে একটু ইতস্ততও

কোনো একদিন আমিও শিখে যাব
যখন তখন
   যেখানে সেখানে
এক গাল হেসে জিজ্ঞাসা করতে আপনাকে,
    "কেমন আছেন?"

যেন আমার ভালো থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই বাতুলতা

সারারাত জেগে কাটালাম

তোমার জন্য

যদিও তুমি সঙ্গে ছিলে না

ভোর হল
ক্লান্ত শরীরে

অভিমান হল
  বৃথা কার জন্য কাটালাম
      সারাটা রাত, জেগে? 

মন বলল,
    আমি যার মধ্যে মিশেছিলাম 

আসলে ভয় আমারই

হাত বাড়ালে যদি 
     হাতটা না ধরো

আর হাত না বাড়ালে
       যদি অভিমান করো

এ দ্বিধায় আমি
       দ্বিখণ্ডিত 

তুমি ভাবলে
           নিষ্ঠুরতা

চ্যারিটি ভালো জিনিস। সভ্য মানুষ চ্যারিটি করবে এ ভালো কথা। মহাপুরুষেরা বলে গেলেন, সব চাইতে বড় দান হল জ্ঞানদান। 

যা বলার ছিল
বললাম না
তুমিও বললে না

কথা শেষ হল

অসম্পূর্ণ কথাগুলো
জালে আটকানো পোকার মত
দপদপ ছটফট করছে 
      বুক মাথা জুড়ে
উড়তে চাইছে, বাঁচতে চাইছে

ভয় পাচ্ছ 
তুমিও
আমিও

কোন ভয়টা বেশি ?
উড়ে এসে ঠোঁটে বসার?
না মৃত হয়ে বুকে চেপে থাকার?

অল্প অল্প সুখ। অল্প অল্প ক্ষোভ। অল্প অল্প সাধ। অল্প অল্প স্বপ্ন। অল্প অল্প রাগ। অল্প অল্প প্রতিশোধস্পৃহা। অল্প অল্প অসহায়তা। অল্প অল্প বিষণ্ণতা। অল্প অল্প মহত্ব।

এরপর একটা অবশ্যম্ভাবী মৃত্যু।