দুই রূপেই
জেগে ছিলাম
নদীটাও জেগেছিল
সারারাত জেগে আমরা দুজনে
পাড় ভাঙার আওয়াজ শুনছিলাম
ভোরে উঠে দেখি
মুখ থুবড়ে পড়া নীড়ের পাশে
মাটিতে লুটিয়ে চোখ না ফোটা পাখি
আসবে বলো?
মন খারাপের অন্ধকারে
অন্ধ বাউল একতারাতে
কি বাজালো?
সিঁড়ি গিয়েছে তেপান্তরে
মেঘের মধ্যে বসত করে
চিনতে পারো?
বিশ্বাস
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের বাইরের প্রাঙ্গণ। সকাল আটটা। উল্লেখযোগ্য ভিড় নেই। রামকৃষ্ণদেবের ঘরে ঢুকতে বাঁশ। ডাঁয়ে, বাঁয়ে, পিছনের দিকে বাঁশ আটকানো - প্রবেশ নিষেধ - এখানে জুতা রাখবেন না। ঘরে ঢুকতে গেলে মন্দিরের ভিতরের প্রাঙ্গণে ঢুকে তবে যাও। এখ
থুড়ি, শ্রমজীবী
বুদ্ধিজীবী তো সেও
যে জানে কোন জুতোতে কোন সেলাই হয় না
বুদ্ধিজীবী তো সেও
যে পোকা দেখলেই কোন ফসলের শত্রু ওটা চিনতে পারে
ইউটার্ন
সেতু
কয়েক টুকরো ভালোবাসা দিও
বাকিটা আমি জুড়িয়ে জুড়িয়ে নেবো
নিরবচ্ছিন্ন যা, তা তো মরণ!
বালাইষাট, প্রেম চাইতে মরণ চাইব নাকি!
সেনেকা
তুচ্ছ বলে যা চাইনি
খারিজ
ধান ক্ষেতের নাগাল ঘেঁষে থালার মত চাঁদ। ধানগাছগুলো সন্ধ্যের হাওয়ায় সারা শরীর দুলিয়ে শিহরণ জাগিয়ে তুলেছে ক্ষেতে। হালকা সরসর শব্দ উঠছে নূপুরের মত কোনো অলক্ষ্য পায়ের। সে পায়ে যেন আলতা। চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত পাকা ধানের শরীর। বিচ্ছুরিত সাদা