Skip to main content

দুই রূপেই

জেগে ছিলাম
নদীটাও জেগেছিল
সারারাত জেগে আমরা দুজনে
পাড় ভাঙার আওয়াজ শুনছিলাম

ভোরে উঠে দেখি
মুখ থুবড়ে পড়া নীড়ের পাশে
মাটিতে লুটিয়ে চোখ না ফোটা পাখি

আসবে বলো?

মন খারাপের অন্ধকারে
অন্ধ বাউল একতারাতে
     কি বাজালো?

সিঁড়ি গিয়েছে তেপান্তরে
মেঘের মধ্যে বসত করে
     চিনতে পারো?

বিশ্বাস

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের বাইরের প্রাঙ্গণ। সকাল আটটা। উল্লেখযোগ্য ভিড় নেই। রামকৃষ্ণদেবের ঘরে ঢুকতে বাঁশ। ডাঁয়ে, বাঁয়ে, পিছনের দিকে বাঁশ আটকানো - প্রবেশ নিষেধ - এখানে জুতা রাখবেন না। ঘরে ঢুকতে গেলে মন্দিরের ভিতরের প্রাঙ্গণে ঢুকে তবে যাও। এখ

থুড়ি, শ্রমজীবী

বুদ্ধিজীবী তো সেও
   যে জানে কোন জুতোতে কোন সেলাই হয় না

বুদ্ধিজীবী তো সেও
  যে পোকা দেখলেই কোন ফসলের শত্রু ওটা চিনতে পারে

ইউটার্ন

হঠাৎ কে বলল, "এতবড় আকাশটা অপচয় হল শুধু।" কে বলল? এদিক ওদিক তাকালাম। চারদিকে ধু ধু মাঠ। দিগন্তে সাদা সাদা মেঘ, হঠাৎ দেখলে মনে হবে, আরে একি? কোন চিমনির ধোঁয়া?

সেতু

কয়েক টুকরো ভালোবাসা দিও
   বাকিটা আমি জুড়িয়ে জুড়িয়ে নেবো

নিরবচ্ছিন্ন যা, তা তো মরণ!
   বালাইষাট, প্রেম চাইতে মরণ চাইব নাকি!

সেনেকা

সেনেকার চিঠি পড়ছিলাম। সেনেকা অত্যন্ত প্রিয় দার্শনিক আমার। মনে হল কটা কথা অনুবাদ করে দিলে কেমন হয়। তাই এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

তুচ্ছ বলে যা চাইনি

কোথা থেকে ফিরছিলাম মনে নেই, সন্ধ্যে সন্ধ্যে হবে, বড় রাস্তা পেরিয়ে বাঁকটা ঘুরতে যাব, হঠাৎ মনে হল, কিসে একটা খটকা লাগল যেন? কি যেন নেই?...

খারিজ

ধান ক্ষেতের নাগাল ঘেঁষে থালার মত চাঁদ। ধানগাছগুলো সন্ধ্যের হাওয়ায় সারা শরীর দুলিয়ে শিহরণ জাগিয়ে তুলেছে ক্ষেতে। হালকা সরসর শব্দ উঠছে নূপুরের মত কোনো অলক্ষ্য পায়ের। সে পায়ে যেন আলতা। চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত পাকা ধানের শরীর। বিচ্ছুরিত সাদা

গরহাজির

আজ সারাটা দিন হোক আমায় ছাড়া,
ডেকো না,
আমার অলস ভোরের বিছানা ছাড়ছে না গতকাল।

Subscribe to