Skip to main content

ঈশ্বরকে বলব

আমি ঈশ্বরকে বলব
আমায় স্বর্গে না রাখতে

বলব, তোমার চোখের পাতাগুলোর
একটা পাতায় রাখতে

"সে থাকে না, থাকে বাঁধন"

আমার ধরা ছোঁয়ার জগতে যখন তোমায় চাই, তখন তোমার সাথে সাথে নিজেকেও বেঁধে ফেলি সীমায়। সে সীমা নিরাপদ বটে, তবে সে সীমাতে গর্বেরও কিছু নেই। আমার মাথার ওপর যে নীলাকাশ, সে তো আমার প্রয়োজনের বস্তু না, সে আমার মুক্তি! সারাদিন সংসারে জোয়াল বাধা ঘূর্ণিতে, একটু ফাঁক পেলেই চোখ যায় ঐ দূরের নীলাকাশটায়। তখন সে দূর কই?

হাত

পথ হারালাম।
ভাবলাম, চলতে হবে বাকিটা পথ একা।

হারানো পথ
কাঁধে রাখল হাত
বলল-
আমি চলব পাশে পাশে
হবে কি আর একা?

"হাতের নাগালে পেয়েছি সবারে নীচুতে"


সেই কবে থেকে কিছু জিনিস জোগাড় করতে শুরু করেছিলাম। কয়েকটা জিনিস বানাতেই হবে এমন সাধ ছিল। একটা অট্টালিকা, একটা ওই উঁচুতে - যেখানে দেবা-দেবীরা থাকেন, সেখানে ওঠার সিঁড়ি, আর বিশাল একটা সেতু।

দুই-ই

কারোর না আসার অজুহাত
কারোর যে কোনো ভাবে আসার ছুতো
দুইই দেখেছি

কারোর চোখে পাশে বসেও অস্থিরতা গোপনের চেষ্টা
কারোর গলায় দূরে থেকে কাছে না থাকার যন্ত্রণা লুকাবার অভিনয়
দুইই জেনেছি

কারোর মনে পড়েও ভুলে থাকার চেষ্টা
কারোর ভুলে গিয়েও মনে পড়ানোর অভ্যাস
দুইই বুঝেছি

ছোঁয়াছুঁয়ি

অনেকক্ষণ ছোঁয়াছুঁয়ি খেলার পর বুঝলাম
ও আমায় ধরতে চাইছিল না,
আমায় দৌড় করাতে চাইছিল।
না হলে খেলাটা থেমে যেত বহুক্ষণ আগেই।
ও, না ধরা দিল
না ধরে রাখল

এতগুলো বছর শুধু খেলার ঘুঁটি হয়ে কাটলো 

মার্জনা


সবচাইতে বড় আড়াল নিজের সাথে নিজের আড়াল। যে করেই হোক নিজের মুখোমুখি হতেই হবে। যা কিছু পাপ, তাকে মাথা নীচু করে স্বীকার করে, জোড় হাত করে নিজের অন্তর্যামীর সামনে হাঁটু গেড়ে বসতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে।
 

কেন বিশ্বাস করব?

কেন বিশ্বাস করব?
তোমার ছায়া আর তুমি ভিন্ন রাস্তায় হাঁটো।
পাতকুয়োতে বালতি ফেলে
বালতি তোলার কাঁটা খোঁজো নিজেই।
তোমার কথাগুলো ঝাঁঝরা ধরা এত-
'মানে' গুলো সব গলে গলে পড়ছে, বোঝো?
তোমার পায়ের শব্দে বেড়াল চমকে ওঠে
তোমার আশ্বাসে আমার নিউরোনগুলো
হাই তোলে আড়ামোড়া ভেঙে

এগিয়ে

জিভকে একটু বিরাম দাও
হৃদয়েরও কিছু বলার থাকতে পারে।

সব জানাশোনা ছেড়ে এগিয়ে যাও
অজানাতেও কেউ আপন থাকতে পারে।

Subscribe to