জাগা স্বপ্ন
হয় তো ভুল জানতাম
মোড়ের বাঁকে কোনো শিউলি গাছ ছিল না
হয় তো কোনোদিনই ছিল না
তবু আমার জানলা দিয়ে যে গন্ধটা আসত
আমার বিছানা বালিশে ঘুমের সাথে মিশত –
আমার কেন জানি মনে হত
সে গাছটা ওই মোড়ের বাঁকেই আছে
বোঝো
কেউ কথা বলছে?
অনুভব করো কণ্ঠস্বর
কারণ কথার মানে শব্দগুলোয় না,
কণ্ঠস্বরে থাকে
কণ্ঠস্বর নেই?
খোলা চোখের উষ্ণতায় রাখো হাত
বুঝবে কখনো পুড়ছে, কখনো ভিজছে
হয় তো বা কখনো হিম শীতল
বন্ধ চোখ?
মুখের চামড়ার ভাঁজে রাখো চোখ
দেখো গ্রন্থাগারের সামনে দাঁড়িয়ে তুমি
এভাবেই বোঝো
কি বুঝবে?
বলা যায় না
ইঙ্গিত করা যায় হয় তো
বলে যাও
পল্টুনামা
বাঁ দিকে, রাস্তা পেরিয়ে যার চায়ের দোকান
ওর নাম পাঁচু
বয়েস কত? বাহাত্তুরে ধরব ধরব করছে
ওর যে নাতি, বয়েস কত?
তা এই আশ্বিনে তেরোর কোল তো ছুঁচ্ছে
চায়ের দোকান, সেই তো চালায়
বুড়ো তো কেবল তামাকই খায়
হাই তোলে আর হরি হরি বলে
নাতি পল্টু কেটলি চাপায়,
তারই ফাঁকে বইটা খোলে
বসন্তের রঙ
জল্পনা
তুমি আসার পর
অভাব কিছু নেই
কিছু মিটিয়েছ তুমি
কিছু মিটিয়েছে তোমার ছায়া
আরো যদি কিছু থাকে অভাব?
মিথ্যা জল্পনা সে, মায়া
বাইরে এসো
কি কথা বলি?
দরজার ধারে আছি সকাল থেকে দাঁড়িয়ে
সবার আসা যাওয়া বসা ওঠা
দেখছি দু'চোখ ভরে
আরতির ঘণ্টা, দীপের আলো, ধূপের ধোঁয়ায়
সবের আবরণে তোমায় দেখছি
তুমি দেখেছ আমায়?
বক্সা ফোর্ট
সম্পর্ক
"তুমি কতদূরে গেছো?"
প্রজাপতিটা জিজ্ঞাসা করল রেললাইনকে। রেললাইনটার এ মাথা ও মাথা দেখা যায় না। এক জঙ্গলের থেকে বেরিয়ে সে আরেক জঙ্গলে গেছে মিশে। প্রজাপতি তার সাধ্যমত কতদূর উড়ে দেখে এসেছে তো। কিচ্ছু দেখা যায় না, কোথায় ওর শুরু, কোথায়ই বা ওর শেষ।