Skip to main content

রথের চাকা

        এক, আমি নিজে; দুই, আমার সমাজ; আর রইল বিশ্বচরাচর। এই তিনকে ঘিরে একটা জীবন। এই তিনটেকে গেঁথে একটা সূত্র আছে - দর্শন। একজন মানুষ জেনে হোক, না জেনে হোক, কোনো না কোনো একটা দর্শনে বিশ্বাস করে। তার সেই বিশ্বাসের সাথে তার আচরণ যত খাঁটি সে তত স্বচ্ছ। তার সে দর্শন যত উচ

ভালোবেসেছিলাম


ভালোবেসেছিলাম
শুধু তোমাকেই আমি
বিনা অভিধান 
বুঝতে পেরেছিলাম

প্রাচীর ঘিরি না


তোমায় আমি
কাছের ভাবি
নিজের ভাবি না

তোমার কাছে
আশা রাখি
দাবি রাখি না

যে ঝরণাটা
নদী হবে
নামছে দেখো
ছুটছে দেখো

ওকে আমার
দেখেই শান্তি
আগল ঘিরি না

তৃপ্ত আমি
মুক্ত আমি
পূর্ণ আমি

কবিতা ফুল


গদ্য ফসল। কবিতা ফুল। 
গদ্য হাটের। কবিতা রসিকের।
গদ্য প্রতিবিম্ব। কবিতা প্রতিফলন।
গদ্য পরতন্ত্র। কবিতা স্বতন্ত্র।

একারই


দ্বিধা ছিল 
আছে
থাকবেও

চলা ছিল
আছে
থাকবেও

রঙ হল পাকা
মুছে দিলাম 
   নির্মম

পথ একাই ছিল
একারই ছিল
আছে
থাকবেও

তৃষা-নিশা

        মনের উপর বোধের নিয়ন্ত্রণ থাকবে - এমন কথা ছিল সভ্যতার মূলে। কিন্তু সভ্যতা বলতে কি বোঝানো গেল? বলা হল যা মার্জিত, যা ভদ্র। ভদ্র অর্থাৎ মার্জিত। যা দোষমুক্ত। দোষ কি?

একটানা


প্রসঙ্গ বদলাও 
চাঁদ তারা সূর্য ঋতু 
কেউ থাকতে পারে না ঠায়ে একটানা
ভালোবাসা, সুখ, দুঃখ এরাও পারে না,
    হৃদয় পারে 
সে তো দিগন্ত 
   জাগরণ আর বিস্মরণের মাঝে দাঁড়িয়ে

নোনতা

        আজও কাজে যায়নি। যাবে কি করে, কাজ হলে তো যাবে? সন্ধ্যা কাজে যাওয়ার সময় দেখল মাঠটা পুরো জলে ডোবা। যা বৃষ্টি ক'দিন ধরে পড়ছে, এত জল, বাপ রে! বিষ্ণু'র কাজ তো এই মাঠের থেকে মাটি কেটে লরি ভরতি করা। অত মাটি যায় কোথায় কে জানে? 

পরের সিঁড়িটা না থাকলেই হয়ত ভালো হত


পরের সিঁড়িটা না থাকলেই হয়ত ভালো হত
পরের সিঁড়িটা না থাকলে কি ভালো হত? 
কোন সিঁড়িতে বিশ্রাম নেওয়া যায়
    আগের সিঁড়িতে না পরের সিঁড়ি?

অনিবার্য যেটা


বাকযুদ্ধে হেরে গেছি দু'জনেই

আমি ভাষা হারিয়েছি
সে হারিয়েছে উদ্দেশ্য

নির্বাক অপলক তাকিয়ে 
ঝুলন্ত পাহাড়ের কোলে

একটা একটা পাথর খসিয়ে যাচ্ছি খাদে
    সরে সরে দাঁড়াচ্ছি পরের পাথরটায়
নৈসর্গিক মাধুর্য মৌমাছির গুঞ্জনের মত

Subscribe to