লগ্নভ্রষ্টা?
এ মানুষে সেই মানুষ আছে
অস্তমিত সূর্যের দিকে তাকিয়ে অনেকক্ষণ বসে। রাস্তাটা বেঁকে গিয়ে যে গ্রামটাতে গেছে, সে গ্রামের অনেককেই চিনি। তারাও চেনে আমায়। তবু এখন যেন সেই চেনাচিনি থেকে সরে আমি। সামনে অনেক দূর অবধি বিস্তৃত ধানক্ষেত। সবুজে সবুজ চারদিক। গরম তেমন নেই, আবার ঠান্ডার দাপটটাও নেই, বসে থাকতে ভালই লাগছে।
ডাকব না
ডাকব না
সাড়া দেব। অপেক্ষাতে আছি।
ভাঁটা ফিরেছে বহুক্ষণ
নোঙর ফেলেছি জোয়ারের কাছাকাছি।
কান পাতো
তোমার প্রতিটা শ্বাসে আমার চুম্বন
ওরা ফাঁকি দেবে এমন সাধ্য কি?
তোমার না বলা কথার গঙ্গোত্রী
এখনো অযুত বরফে ঢাকা
আমার মর্মের মোহনা পথ চেয়ে ওদের
তোমার বুকের ভিতর যে প্রেমের ভুলভুলাইয়া
তার সব কটা চোরাপথ কে চেনাবে আমায়?
জয়ন্তী
সম্পদ তবে শ্রীপদ
সংশয়রাক্ষস নাশমহাস্ত্রম - স্বামীজি বললেন ঠাকুরকে। যিনি সংশয়কে নাশ করার শুধু অস্ত্র না, মহাস্ত্রস্বরূপ।
কিসের সংশয়? ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে? 'হাঁ'ও বটে, 'না'ও বটে। 'হাঁ'- কারণ, ঠাকুরের ঈশ্বরের 'ইতি' করা যায় না।
একটা দিব্যস্বপ্ন
সেদিন ছিল শিবরাত্রি
সেদিন ছিল শিবরাত্রি। মন্দিরে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। ঘন্টা,কাঁসর, ভক্তদের কোলাহলে মুখরিত ছিল দেবালয় প্রাঙ্গণ।
আজ মন্দিরে কয়েকটা টিকটিকি আর পোকাদের ভিড় - মন্দিরে দেওয়ালে, বিগ্রহের গায়ে। শূন্য প্রাঙ্গণ। দেবতা একা। তিনি নীরব চোখে আমায় বললেন,
প্রয়োজন ফুরালে সবাই একা হয়। এমনকি দেবতাও।
পঞ্চভূত
কেউ আগুনকে ভালোবাসে
পোড়ায় বলে
কেউ আগুনকে ভালোবাসে
উজ্বল বলে
তুমি কেন ভালোবেসেছো?
আদৌ বেসেছো কি?
ঘ্রাণ
তবু তো বসন্ত এসেছে
তবু তো ভাঙা রাস্তায় পড়েছে
কুর্চি, পলাশ
তবু তো একটা চিঠি জন্মেছে
প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে, তীব্র অপেক্ষার গর্ভ থেকে