Skip to main content

লুকোচুরি

চাদরেও ঠাণ্ডা মানাচ্ছে না। ঠকালো? অথচ বলল, আসল কাশ্মীরি শাল নাকি। আমার এই প্রথম এইদিকে আসা। ছাপরা স্টেশান থেকে বারো কিলোমিটার দূরে একটা জঙ্গল ঘেরা স্টেশান। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা।

দাগ

        সাবির আলি চেয়ারের হাতলে ভর দিয়ে বাঁদিকে ঝুঁকে বসে আছে। মাথার উপর স্বচ্ছ টাকে পিছনের জানলার পর্দাটার ছায়া দুলছে। নীল সাদা চেক চেক শার্টে এখনও ঘামের দাগ শুকায়নি। রিডিং গ্লাসটা নাকের কাছে নেমে এসেছে। ডান হাতটা চেয়ারের বাইরে ঝুলে আছে। সাবির আলি পনেরো মিনিট হল মারা

শঙ্কা

        রমজানের হাতে কড়া। তাও মাথায় বিলি কেটে দিলে ভালোই লাগে পরাশরবাবুর। রমজান বছর দশেক আগে পরাশরবাবুর বাগানের কাঁঠাল গাছে গলায় দড়ি দিয়েছিল। কেন দিয়েছিল কেউ জানে না। সে অকৃতদার ছিল। গরীব মানুষ, পরাশরবাবুদের বাড়িতেই ফাইফরমাশ খেটে দিন চলে যেত। তাকে অবশ্য হাসতে দেখেনি কেউ কোনোদিন। গায়ের রঙ তামাটে, রোগা-বেঁটেখাটো শরীর, তবে খাটতে পারত। পরাশরবাবুর স্ত্রী বেঁচে

আবার ধুপধাপ আওয়াজ

        আবার ধুপধাপ আওয়াজ। এবার রান্নাঘরের উপরের তলা থেকে। যতই হোক, রাত্তিরবেলা সেই আওয়াজটাও বিরক্তিকর। কিন্তু যতবারই উপরের তলায় দরজায় ধাক্কা দেন, কেউ দরজা খোলে না। দিনের বেলায় তালা দেওয়া থাকে। কি ঝক্কি!

ঈর্ষা

    প্রথমঃ

ঝোড়ো সন্ধ্যে

আমায় এখন ভূতে পেয়েছে। তাই খালি খালি ভূতের গপ্পো বলব। তবে আজ যেটা বলব, গপ্পো নয়। খাঁটি সত্য ঘটনা।
তখন আমি ক্লাস ইলেভেনে পড়ি। মা, বাবা, ভাই বাড়িতে কেউ নেই। সব্বাই বড়মামার ওখানে গেছে সল্টলেকে। শনিবারে থেকে রবিবার ফিরবে।
...

সুটকেশ

অনেক রাতে ট্রেন। প্রদ্যুত যখন হাওড়া স্টেশানে এলো তখন পৌনে এগারোটা। এখনও এক ঘন্টা বাকি। প্রদ্যুত বিশাখাপত্তনম যাবে। অফিসের কাজ। এসি ২ -তে লোয়ার বার্থ। প্রদ্যুত ডিনার সাথেই এনেছিল। স্টেশানেই খেয়ে নিল। ট্রেন দেয়নি এখনও প্ল্যাটফর্মে। মোবাইলটা অন্ করে ওটাস অ্যাপটা অন্ করতেই বোর্ডে চেন্নাই মেলের প্ল্যাটফর্ম দিয়ে দিল।
...
Subscribe to ভুতুড়ে গল্প