গভীর নিস্তব্ধতায়
গভীর নিস্তব্ধতায় দাঁড়িয়ে আমরা দুজন
নিজেদের প্রতিটা শ্বাস চেনা,
জানা প্রতিটা শিরায় রক্তের গতির বেগ
তবু হাতটা ছোঁয়ার আগেই মিলিয়ে যাবে জানি
আমার অতৃপ্ত মন, আমার চিরযাত্রী মন
এসো খানিক দাঁড়িয়ে খুঁজি তারার গতিপথ
দেখো তো মেলে কি আমাদের সাথে?
সহস্র জন্মের তৃষ্ণা
সহস্র জন্মের তৃষ্ণা নিয়ে দাঁড়িয়ে
এ নিত্য প্রবহমানতার মাঝে
সব ফিরিয়ে দেব পৃথিবী,
ফিরিয়ে নাও আমায়
তোমার চিরস্থির অসীম অনন্তলোকে
বে-হিসাবী
দ্বন্দ্ব
রাস্তাটা নিজের হাতে দু'টুকরো করে কাটলে
এখন নিজেকে দু'টুকরো করবে কিনা ভাবছ
চেনা রাস্তার একঘেয়েমিতে ঘরের ভিত নাড়লে
একই গুটি সাজিয়ে বসে
নিজেকে নিজেরই প্রতিপক্ষ করছ
কত?
কত স্মৃতির বিন্দু জমে জমে ধ্রুবতারা হয়?
কত ব্যাথা উদাসীনতায় ঘুমিয়ে একতারা হয়?
কত রাত জাগা অভিমানে শিউলিবৃন্ত লালাভ হয়?
কত একা থাকলে রক্তনদীর গভীরতা মাপা যায়?
কত চেষ্টার পর ব্যর্থতাকে প্রদীপের শিখা করা যায়?
কাদের দোষে?
কাদের দোষে? কারা দায়ী? কার গাফিলতি? কোন দল?
ভাঙাপুলের নীচে এ আওয়াজ যায় না
অর্ধমৃত শরীর আগলে, গলা বাড়িয়ে
চাইছে জল, শুধুই জল
আর ওঠার বল
চাঁদ
হ্যাঁ শুধু আমারই জন্য
আমি সব কাজগুলো সেরে আসব
তোমার ঘুম পেলে ঘুমিয়ে পোড়ো
তোমার ঘুমন্ত চোখের পাতার
প্রতিটা রশ্মি জেগে থাকে আমার জন্য
হ্যাঁ শুধু আমারই জন্য
দুটো ধর্ম আছে
দুটো ধর্ম আছে
ক্ষমতার ধর্ম আর ভালোবাসার ধর্ম
মাঝে মাঝে অদল বদল হয়ে যায়
মুখ পোশাক চিহ্ন
গুলিয়ে ফেলা কোনো ধর্ম না
গুলিয়ে ফেলাই অধর্ম
জানতাম চুরি করবেই তুমি
জানতাম চুরি করবেই তুমি
তবু দরজায় খিল দিইনি
সোজা রাস্তা থেকে বাঁকা রাস্তাই
যে পছন্দ তোমার
সেকি বুঝেও বুঝিনি!