Skip to main content

 

জিজ্ঞাসা করলাম, জগতের হাল কী বুঝছ?

বলল, যেমন হওয়ার কথা। ঠিক তেমন।

বললাম, বিষণ্ণ লাগে না? হতাশ লাগে না?

বলল, না। জগতে সুখের শতাংশ যদি বাড়বে, দুঃখেরও বাড়বে। তবেই ভারসাম্য থাকে। শুধুই সুখ বাড়বে, শিশুর বাসনা। পরিণত বুঝদার মানুষের হতে পারে না।

তবে?

বলল, জগত কুকুরের লেজের মত। যতই সোজা করতে চেষ্টা কর, একই থাকবে। তবু সোজা করার চেষ্টা করবে মানুষ। সেটা তার প্রকৃতি। কিন্তু হবে না, সেটা বাস্তবের সীমাবদ্ধতা।

এ বোধ উদাসীন করবে না? নঞর্থক করবে না?

করবে। যদি আদর্শ থাকে, ভাবনা থাকে, পড়াশোনা থাকে, সময় থাকে, নিজের বোধবুদ্ধির উপর নিঃসংশয় আস্থা থাকে - তবে গভীর বিষণ্ণতা অবধারিত।

মানে?

মানে যদি দরদ থাকে, তবে সবটা জানলে। শেষ শ্বাস অবধি লড়ে যাবে। কিন্তু যদি দরদের আভাস থাকে আর বাকি আগে যা বললাম সঙ্গে এই সব, তবে মরবে নিজের ভাবনার চাপে নিজেই। তাই সক্রেটিস থেকে বুদ্ধের বিষণ্ণ হওয়ার সময় ছিল না। এর মানে এ নয় জগতটাকে তারা তোদের থেকে কম চিনত।

আমি ফিরব এবার।

লঞ্চে যাবি, না ট্রেনে?

বাসে।

আচ্ছা যা। ঠাকুরের মন্দিরে প্রণাম করে যাস। আর দরকার লাগলে আমাকে কোথায় পাবি তো জানিস, এখানে চলে আসিস।

ফেরার সময় ভাবলাম, মায়ের সময় নেই অসুস্থ বিকলাঙ্গ ছেলেকে নিয়ে বিষণ্ণ হওয়ার। পাড়াপ্রতিবেশির আছে। আহাউহু করার সময় কই মায়ের? শোক আছে, দুঃখ আছে। কিন্তু শোকসাগরে ডুবে যাওয়ার বিলাসিতা করার সময় কোথায় যদ্দিন ছেলেটা আছে?

আরো ভাবলাম। ভাগ্যে c ঈশ্বরের আবার বিশ্বাসভক্তির দাবী আছে। তোমার সেটুকুও নেই। এলেই হয়। সংশয় নিয়েও।