Skip to main content

বুঝছ না কেন?

তোমাদের জন্য আমার শান্তি নেই। আমার ব্যক্তিগত জীবনে শান্তি ছিল। যখন ধর্ম আমার একান্ত ব্যক্তিগত ছিল। আমার ধর্মে সেদিন আমি ছিলাম, আমার ঈশ্বর ছিলেন। সংগীত ছিল। নৃত্য ছিল। আকুতি ছিল। আনন্দাশ্রু ছিল। আমার ধর্মের মধ্যে আমি সারা বিশ্বের ছবি দেখতাম। আমার স্তব ছিল, ভজন ছিল, ফুলের সাজ ছিল।
...

বান না বন্যা?

বাঙালী ভক্তের জাত। বাঙালী হুজুগের ভক্ত। কালী, দূর্গা তো অনেক হল। এরকম পুরুষতান্ত্রিক সমাজে  অমন মেনীমুখো হয়ে থাকলে চলবে না বাপু! বাঙালি অ্যাদ্দিনে বুঝেছে। পুরুষাকার জাগছে। রক্তে অ্যাড্রিনালিনের পরিমাণ বাড়ছে। ওই বোলপুর আর জোড়াসাঁকো করে করে শুকুতে বসেছিল গা! তো কথা হল, নতুন একটা হুজুগ বাঙালি বহুদিন পর পেলো।
...

বাঙালির 'কথামৃত' বিলাসিতা

কৃষ্ণ কেনে দরশনে দিবেন কলিকালে। 
নিজ ভ্রমে মূর্খলোক করে কোলাহলে।। 
~ মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (চৈতন্যচরিতামৃত - মধ্যলীলা)
...

সক্রেটিসের জন্ম

মানুষ বাঁচে তিনটে রহস্যময়তায় --- অসীম আকাশ, অনন্ত সময় আর তার রহস্যময় অন্তঃকরণে। এই তিনটেকেই সে অল্পবিস্তর জানে।
...

আঁধার রাতে একলা পাগল

মানুষের দুটো রূপ আছে। তার ভালোর দিক, আর তার খারাপের দিক। দুটোই অস্তিত্ববান তার চেতনায়। মানুষ যত তার ভিতরের রূপটা চিনতে শিখল তত সে বিচ্ছিন্নভাবে, বিশ্লিষ্ট করে নিজের নানা গুণ আর অবগুণগুলোকে অনুধাবন করতে পারল।
...

বিন্দুতে সিন্ধু

অসীমের কি সহানুভূতি আছে? অসীম একটা অস্তিত্ব, নাকি মানবিক চেতনার একটা আভাস। রামকৃষ্ণ বলছেন, “মানুষ কি কম গা? মানুষ অনন্তকে চিন্তা করতে পারে।“ অনন্ত মানে কি মহাকাশ? অসীম কি মানবিক চেতনার অবসর? রবীন্দ্রনাথ নিজের ছোটোবেলায় গায়ত্রী মন্ত্রের অনুভূতি বলতে গিয়ে বলেছেন, সে মন্ত্র তাকে অসীমের মধ্যে বিচরণের জন্য যেন অবসর দিত।
...

পুতুলপূজা

অবশেষে আমরা পুতুলপূজায় বিশ্বাসী - যেভাবেই হোক। সে লেনিন হোক আর শ্যামাপ্রসাদ। মূল কথা হল আমাদের পুতুল আর আমাদের আদর্শ সমার্থক। একটি নড়লে আরেকটা নড়ে যায়। আমাদের বাদবাকি দিকগুলো মানে একটা শিক্ষিত সভ্য সমাজে যেগুলো নিতান্তই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়, সেগুলোতে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গেছি। নিন্দুকে যাই বলুক না কেন।
...

নারী দিবস?

বিশ্বাসঘাতকতা পাপ না অপরাধ – জানি না। তবে বিশ্বাসঘাতকতায় বহু মানুষকে মানসিক ভারসাম্য হারাতে নিজের চোখে দেখেছি। খুব কাছ থেকে দেখেছি। আমার মনে হয়, একটা মানুষকে এর থেকে গভীরে আহত করার বোধহয় আর কোনো উপায় নেই।
...

লেখক ও পাঠক

মনের মধ্যে একটা নিরিবিলি ছাদ থাকে। একটা চিলেকোঠা থাকে। একটা বই সেখানে যতটা জীবন্ত একটা মানুষ ততটা নাও হতে পারে। সে চিলেকোঠা ততটা নির্জনতা, নিঃশব্দতা নয়, যতটা নিরিবিলি বা অবকাশ যাপনের তাগিদ। লেখক আর পাঠক মুখোমুখি বসে সেখানে। দু'জনেই একা।
...

সর্বমঙ্গলময়

একটা ছবি বেশ কয়েকবার দেখছি ফেসবুকে। ছবিটা শেয়ার করলাম না। একটা শিশু বন্দুকের নলের সামনে, ট্রিগার চেপার অপেক্ষায়। তারপর নাকি ট্রিগার দাবানো হয়েছিল।
        ভীষণ দুর্বলচিত্ত মানুষ তো, এরকম কিছু হলে, দেখলেই একজন সর্বমঙ্গলময়, করুণাময় ঈশ্বরকে খুঁজি। যে সব কিছু ঠিক করে দেবে। দুষ্টুলোকগুলোকে ভ্যানিশ করে দেবে।
...
Subscribe to প্রবন্ধ