Skip to main content

পর্যবেক্ষণ


অনেকদিন আগের ঘটনা। স্কুলে পড়ি। দূরদর্শনে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্ঠে রবীন্দ্রসংগীত হচ্ছে। মনোযোগ দিয়ে শুনছি। গান শেষ হল, আমার পাশে বসা একজন কাকু বললেন, বল তো উনি যে শাড়িটা পরেছিলেন তার দাম কত হবে? আর ওনার পায়ের কাছে যে কার্পেটটা রাখা ছিল তার দাম কত আন্দাজ কর তো?

অর্থহীন

একটা সুর বেজে চলেছে দূরে কোথাও। কান পেতে শুনলে মনে হচ্ছে, দূরে কই, এই তো কাছে আমারই বুকের মধ্যে বেজে চলেছে সে। সুরটা যেন প্রথম কানে এলো, কিন্তু অচেনা নয়। নিজের ভিতর নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে শুনছি, বেজেই চলেছে, বেজেই চলেছে সে সুর। এখনই যেন বর্ষা নামবে, ভিজে চুপচুপ হবে আমার সমস্ত আমি। ভিজতে ভিজতে আমি শুনব, ভাবব - কে বাজালো এই সুর?

আস্তিক অসম্পূর্ণতা

ভূত বলে কিছু আছে নাকি? আছে তো, খুব আছে। আমি নিজের চোখেই কতবার দেখেছি। প্রত্যেকটা অসময়ের মৃত্যুর একটা অসম্পূর্ণ গল্প রেখে যায়। যায় না? সেই অসম্পূর্ণ গল্পটাই তো ভূত। তাকে দেখা যায়, ছোঁয়া যায়, কোলে তুলে গল্প করা যায়। হয় না?

মায়ের চোখ এড়ানো কঠিন

আপনাদের বলছি, সেই সব বাবা-মায়েরা, শিক্ষক-শিক্ষিকা-পাড়া প্রতিবেশীরা...

'চতুরঙ্গ' ও কিছু কথা

“বুঝিলাম, শচীশ এমন-একটা জগতে আছে আমি যেখানে একেবারেই নাই। মিলনমাত্র যে আমাকে শচীশ বুকে জড়াইয়া ধরিয়াছিল, সে-আমি শ্রীবিলাস নয়, সে-আমি 'সর্বভূত'; সে-আমি একটা আইডিয়া।

Impulse

এ লেখাটা লেখার কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা অথবা সার্টিফিকেটের ছাড়পত্র আমার নেই। তাই অনেকের কাছে এ লেখা বা

fact

চশমা ছাড়া ফেসবুকে একটা পোস্টে চোখ পড়ল, একটা শব্দ - sex. প্রোফাইলের ছবিটা খালি চোখে অস্পষ্ট বুঝছিলাম, প্রথমে মনে হল একজন মহিলা, সাথে সাথেই মনের মধ্যে উঠল, বাপ রে! সাহস আছে। তারপর দেখলাম পুরুষ, সাথে সাথেই সে লেখা হয়ে গেল fact আমার কাছে।

বঙ্গ সংকট

আজ এক নতুন তথ্য জানলাম, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি রবীন্দ্রনাথের কাব্যগুণ বুঝতেন না। সুবিনয় রায় আর গীতা ঘটকের

Isolation

Isolation - বিচ্ছিন্ন রাখা না থাকা?
         মনের ধর্ম কি? বিচ্ছিন্ন থাকতে চাওয়া? কিছু কারণে কখনও কখনও হয়ত চাইলেও মূলত তা মনের ধর্ম কি? আসলে কথাটা 'isolation' বললে মনের যে বোধের সাথে যায়, 'বিচ্ছিন্ন' বললে তা যায় না। ছিন্নমন বা ছিন্নসত্তা বলি যদি? হ্যাঁ কতকটা আমার মনের ভাবের রস পেল। তবে এই কথাটাই থাক – ছিন্নমন বা ছিন্নসত্তা।

প্রগতি

হিন্দু মহাসভা নাথুরাম গড্‌সের মন্দির প্রতিষ্ঠা করল। নাথুরাম গড্‌সে তাদের আদর্শ, পুজ্য। তার কারণ তিনি হিন্দুধর্মের মহত্ব প্রচার করেছিলেন বলে নয়, গান্ধীকে হত্যা করেছিলেন বলে। গান্ধীকে ও তার আদর্শকে কারোর অপছন্দ হতেই পারে, সভ্যতার ইতিহাসে গড্‌সে ও মহাত্মার অবদানের ফারাক বোঝার মত মানসিকতা বা ইচ্ছা অনেকের না-ই থাকতে পারে। কিন্তু পৌরাণিক পুরুষ রাম তথা কৃষ্ণ পূজ্য কি শুধু রাবণ তথা কংস নিধনের জন্য, না

Subscribe to প্রবন্ধ