মৌসুমী বায়ুর মত
সুখের মুহুর্তগুলো ভুলে যাও, ক্ষতি নেই
মনে রেখো কিছু যন্ত্রণা আমরা একসাথে পেয়েছিলাম,
ভাগ করে নিয়েছিলাম বলে
কিছুটা পথ এগিয়ে আসতে পেরেছিলাম
সেই রবীন্দ্রনাথ
তৃষ্ণার্ত, সমুদ্রতীরে ডাবের জল
সেই রবীন্দ্রনাথ
প্রেমার্ত, হরমোনের ভুলভুলাইয়ায় দিশা
সেই রবীন্দ্রনাথ
পারিনি
প্রচণ্ড আকণ্ঠ দেশভক্তি
পাড়ার মোড়ে মোড়ে ফুল চন্দনে ঢাকা ছবি
অনেকটা বারের পূজোর মত
(প্রসাদের মত বাণীও বাইরে রেখেই ঘরে ঢুকতে হয়। না হলে সাংসারিক অমঙ্গল)
আমি একটু দূরত্ব রেখেই চলি
আম্লিক - ভালোবাসা
অ্যাসিড ছোঁড়াটা আটকাতাম কি করে তোমার?
ওটা তো তোমার রুচি
দ্বিধা
ডাক পাঠালে
এসেছি দেখো
একটু দেরি হল
শুনতে পেয়েও
বুঝতে পারিনি
পা দ্বিধান্বিত ছিল
অলোকেশবাবু
অলোকেশবাবুর ভীষণ হিসাবি সহানুভুতি
মালতীর ছেলের জন্য টাকা দিয়েছিলেন
ছেলেটার টাইফয়েড হয়েছিল
মালতীর স্বামীর চিকিৎসায় টাকা দেননি
বরটা মারা গেল।
পাও নাই পরিচয়
তোমার ভালোবাসাই নিঃসঙ্গ করল আমায়
তুমি যাকে ভালোবাসো
আমার মধ্যে যাকে দেখো, যাকে খুঁজে পাও -
সে আমার কাঠামোয় তোমার নিজের সৃষ্টি আমি
সে আমি, আমি নই
কে?
মুখ বন্ধ। জিভ শব্দ উচ্চারণ করে না।
শুনবে কে?
মাথার মধ্যে অজস্র শব্দ। বড্ড আগোছালো।
বুনবে কে?
নির্মেদ
ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার পর বুঝলেন
ওই অঙ্গটার অন্য একটা প্রচ্ছন্ন পরিচয় ছিল
তাঁর পুরুষসঙ্গীর প্রেমের নিলয় শুধু নয়
তাঁর অধুনা যুবক সন্তানের পরিত্যক্ত খাদ্য ভাণ্ডার শুধু নয়
আঁধারে মিলিবে তার স্পর্শ
রাতের বুকের কোটরে একরকমের স্নিগ্ধতা আছে। শান্ত মসৃণ স্নিগ্ধতা। বাতাসের ভাষায় ভর করে আসে। যদি হাত পাতি, কিছু এসে জমে হাতে। যদি হাত উপুড় করি, হাতের থেকে কিছু নিয়ে যায়। কি নিয়ে যায় জানি না। যেন এই রাতের অন্ধকারের আড়ালে কেউ আছে। সে আমার খুব পরিচিত, খুব আপন। এতটাই পরিচিত যেন পরিচয় দেবার ভাষারাই অপরিচিত সে পরিচিতির কাছে। শিশু যেমন মায়ের পরিচয় দিতে পারে না, প্রেমিক যেমন প্রেমের পরিচয় দিতে পারে না, তথ্