Skip to main content

কৃতজ্ঞ

আমার প্রতিদিনের অন্নের ধান যে বুনে দেয়
    তার ধর্ম কি জানি না

আমার প্রতিদিন পরা পোশাক যে বুনে পাঠায়
    তার ধর্ম কি জানি না

বন্ধ দরজা

বন্ধ দরজাটা যখন খুলল অবশেষে
সবাই ভাবল এবার বুঝি উনি উঠবেন 
    কারণ সকাল থেকে উনি বসে 
           দরজাটা খোলার অপেক্ষায়

ভুল শব্দেরা

কয়েকটা না বলা শব্দ
   বহু আলোকবর্ষ দূরত্ব তৈরি করতে পারে
বহুবার ভুল শব্দেরা সাঁকো ঝাঁকিয়ে
    অথবা মাঝপথে লুঠ করে নিয়ে গেছে তা- 

হ্যাঁ রে মেয়ে

এত অভিমানী চোখ কেন গো?
মেঘ জমেছে, না লাভা ফুটছে বুকে? 
ছাদের উপর তিনটে শালিক
  না দরজার আগলে দশটা চড়াই? 
কি হারালো? বল না রে মেয়ে?
 কি হারালো, বেরিলি বাজারে ঝুমকা?

দুর্বল

অনেকদিন পর মাটিটায় হালকা সবুজ ঘাস এলো
  কদিন হেঁটো না তুমি মাঠের ওদিকটায় 
আবর্জনা ফেলতে এসেছো, এসো, ফেরাব না
    তুমি জানো আমি মহান নই, দুর্বল 

আটকে

জোয়ারের জলে কোথা থেকে রাশ রাশ কচুরিপানা ভেসে এলো গঙ্গার বুকে

ভাঁটায় ফিরে গেল না ওরা
পাড়ে পাড়ে বেধে থেকে গেল
   ফিরে গেল জোয়ারের জল

পারতে না?

না হয় দাঁড়াতে আরেকটু
আমার চলার তো কোনো সময়সারণি নেই 
  নেই জোয়ার ভাঁটার মত আসা-যাওয়াও 
না তো আছে উদয় অস্ত যাওয়ার মত আহ্নিক গতি

কি এত খোঁজে?

ব্যস্ত পাঁচমাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে, 
একা দুপুরে কোনো মাঠে বসে
শ্মশানের বাইরে বসে দাহ পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষায়
কিম্বা মন্দির থেকে বেরিয়ে
অথবা সমুদ্রের ধারে

গ্রে জোন

ফুঁ দিয়ে প্রদীপ, মোমবাতি, উনুন নিভিয়ে দেওয়ার পর লোকটা মুখ ফুলিয়ে, গাল ফুলিয়ে তৈরি হতে লাগল...

এত কিছু মনে রাখো কেন?

এত কিছু মনে রাখো কেন?
তোমার স্মৃতির শিকলে আটকে কিছুটা তুমি
                কষ্ট পাচ্ছ 
ভুলে যাবে?

Subscribe to কবিতা