যাক
ওটা কি পাখি? মাছরাঙা?
উড়ে গেল -
নাম
মালীটা প্রতিটা ফুলের গায়ে নিজের নাম লিখে রেখেছিল গোপনে
কেউ জানত না
প্রজাপতি না, বাতাস না, মাটি না।
জানত শুধু মালী
আর ফুল
দেবতা
সিংহাসনে দেবতার গায়ে একটা মাকড়সা
দেবতা নির্বিকার
মাকড়সাও
পুরোহিত উঠল চীৎকার করে -
অপবিত্র হল সব!
আসলে তো
আসলে তো আমি তাড়াতাড়ি হাঁটছি না
মৃত্যুও শুনেছি এদিকেই আসছে
দুজনেই তাড়াতাড়ি হাঁটলে
বড্ড তাড়াতাড়ি দেখা হয়ে যাবে
তফাত যাও
অস্পষ্ট আলো
আগে বাঁক
বাঁকের সামনে অন্ধকার
তুমি
বলল, এটা পাহাড়
যখন
ঘুমন্ত মানুষগুলোর পাশে জেগে থাকতে থাকতে মাঝে মাঝেই চোখ জুড়িয়ে আসে
নিজেকে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে তুলে চারপাশে দেখি,
নাহ্, জাগেনি কেউ,
শুধু নড়াচড়া আর পাশ ফিরে শোয়া
শাণ
ভীষণ অস্পষ্ট চারিদিক
প্রশ্নেরা বিরুদ্ধ বিশ্বাস
বিশ্বাস বড় স্পর্শকাতর আজ
যখন তখন লুকানো নখে আঁচড়ে
শান্তির বার্তা বুঝিয়ে দিতে চায়
পিচ
নতুন পিচ ঢালা রাস্তায় হাঁটতে নেই
রাস্তার দুপাশে লাল কাপড় দেওয়া থাকে,
দু'একজন তবু অবাধ্য হয়। অ-সভ্য হয়।
জানতাম। হাঁটে গোঁয়ারের মত।
বিচার
বিচার চলছে
আসামী বেবাক বোকা বেইমান হৃদয়
ফরিয়াদী আমি
ওর পক্ষের উকিল নেই কেউ
আমার পক্ষের উকিল তো মেলা
যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়ে...
সেকি ধুন্ধুমার কাণ্ড!