কোরাস
যদি রাস্তার এক ধারে দাঁড়িয়ে থাকো
দেখবে ব্যস্ততার একটা ছন্দ আছে
সব মানুষের হাঁটার, হাত দোলানোর, চাহনির, মাথা নাড়ার একটা নিজস্ব ছন্দ আছে
তুমি সব মিলিয়ে একটা সিম্ফনি বলতে পারো
অথবা কোরাস
প্রতিটা আঙুল দেখো, প্রতিটা উচ্চারণ শোনো
প্রতিটা মুখভঙ্গি দেখো
কোথাও তোমার সাথে মিল আছে
টালি
ছাদের ফাটা টালি ক'টা সারানো হয়নি
জ্যোৎস্না ঘরোয়া
বৃষ্টি নয় তো!
ফাটা টালির ফাঁক দিয়ে নেমে আসা জ্যোৎস্না
বিন্দুমাত্র ইতস্তত না করে
চৌকি, জামা-কাপড়ের স্তূপ, ঠাণ্ডা মাটির উনুন
Noise
কিছু শব্দ শব্দহীনও হয়
তুমি শব্দহীন শব্দ নিয়ে শব্দ তুললে
বললে, প্রতিবাদ
আমি উড়ে যাওয়া বকের দল দেখলাম
আকাশকে আকাশ রেখেই
অসংজ্ঞ
চেয়েছিলাম বনানী বীথিকা
হল কই?
একটা গাছের সব কটা পাতা গোনার ধৈর্য নেই
তুমি আমায় জীবনের মানে জিজ্ঞাসা করো?
শরীর মনের স্রোতে জাল ফেলেছি মাঝে মাঝে
পাঁক উঠেছে, শূন্য খোল ঝিনুক উঠেছে
কখনও কয়েকটা সাধারণ মুক্তোও উঠেছে হয় তো
আবার ভাসিয়ে দিয়েছি স্রোতে,
বলি কি করে?
এখনও সাদা জল ছাড়া তৃষ্ণা মেটে না
সাদা ভাত ছাড়া খিদে মেটে না
ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন না জাগলে ঘুম হয় না
নিজেকে সম্পূর্ণ যান্ত্রিক বলি কি করে?
এখনও খোলা মাঠের হাওয়ায়
শুকনো ঘাস বুনোফুলের গন্ধে চোখ মুদি
নিজেকে সম্পূর্ণ শহুরেই বা বলি কি করে?
Savita law
হও প্রাচীন বল্কলভার মুক্ত
অনাবৃত অসংস্কৃত
নিশাত দৃষ্টিতে ছিন্ন হোক মাটি
আকাশে অভিদ্যোতনা ঘোষণা করুক
প্রার্থনা
টব আছে
মাটি আছে
চারাগাছও আছে
মনে সাধ
চারাগাছটা হোক মহীরুহ
মনে শঙ্কা
সে মহীরুহ চিড় ধরাবে টবের
আমার বাগান ছেড়ে হবে বনের
চারাগাছ, তুমি আমারই থেকো
মহীরুহ, আমিই তোমারই হলাম
রাত
রাত দশটা আঙুল দিয়ে বুকে আঁচড় কাটে
চিড়বিড় করে ওঠে পাঁজরগুলো
একটা আধমরা মথের মত কিছু
প্রবল আক্রোশে ডান ঝাপটায়
ফড়ফড় ফড়ফড় করে
গলায় জল ঢালি
ভাবি যদি বুক অবধি নামে,
জল নামতে নামতে শুকিয়ে যায়
শব্দ
শব্দ মারা যায়
কখন মারা গেল
কেউ টের পায় না
শূন্য শামুকের খোলকের মত পড়ে থাকে
একা - অবদ্য
ইছামতী
ইছামতী, তোমায় আমি আজ দেখলাম চোখের বাইরে
ঠাকুমার চোখে দেখেছি তো সেই জ্ঞান না হতেই
ঘর ভাঙানো কান্না গানে