Skip to main content

ওরা

দীর্ঘশ্বাসগুলো ছাদের কার্নিশে
জানলার পাশে, উঠোনে, আমগাছে বসে।
আমি যতবার ওদের দৌড়ে গিয়ে তাড়াই-
হুশ..যা... যা... হুশ...
ততবার ওরা উড়ে গিয়ে, আবার ফিরে আসে,
আবার বসে আমার ঘরের
আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
কি চায় ওরা?
ওদের হাতে করে খাইয়েছি কি কবে?
জানি না।
তবে কেন ওরা আমার চোখের দিকে

আছে

আমার কিছু একটা আছে তোমার কাছে।
কি বলো তো?
আমার সেই হারিয়ে যাওয়া জামার বোতাম?
নাকি পকেট থেকে পড়ে যাওয়া নীল রুমাল?
না সেই কালো কালির বল পেনটার ঢাকনা?

এগুলো নয়? 

যাবি?

তোকে চোখে দেখার আগে
হতাম যদি অন্ধ
কিম্বা উদাস বৈরাগী?

এমন দশা হত কি ছাই?

এখন চোখ পুড়েছে, বুক পুড়েছে
কোন নদীতে নাও ভাসি?

নাও ভাসি, নাও ভাসি
তুই যদি যাস-
         যাই বৃন্দাবন
না হলে হই
         কাশীবাসি।

তোমরা

আমার স্বর্গ
আমার নরক

আমার মুক্তি
আমার বাঁধন

আমার বিশ্বাস
আমার সংশয়

আমার প্রেম
আমার অপ্রেম

আমার নীতি
আমার আবেগ

আমার আশা
আমার অবসাদ

আমার সুখ
আমার দুখ

আমার যাওয়া
আমার আসা

সব তোমরা-
আমার চারপাশে যারা।
তোমাদের ছায়ার ছায়া
আমার অস্তিত্ব, আমার কায়া।

কালবৈশাখী

উদভ্রান্তের মত অনেকটা রাস্তা ছোটা হয়ে গেছে
ততটা কাছাকাছি পৌঁছানো যায়নি যদিও
চোরাবালিতে বেশ খানিকটা ডুবে আটকে।
আকাশটা পুরোপুরি বিদায় জানাতে না পেরে মাথার উপর থমকে দাঁড়িয়ে আছে।

কি জানি


কেউ কেউ আমায়
ডানদিকের গলিতে আসতে বলে
বাঁ দিকের গলিতে সরে যায়।
আমি দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে
এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে
তাকে বাঁদিকের গলিতে 
পাই, আচমকাই।
লজ্জায় চোখ নামাই,
কি জানি সে ইচ্ছা করে ভুল বলেছিল
নাকি আমি ভুল করে ভুল শুনেছিলাম?

দেখেছি

আমি রাগী মানুষ দেখেছি
আমি কামুক মানুষ দেখেছি
আমি লোভী মানুষ দেখেছি
আমি ঈর্ষাপরায়ন মানুষ দেখেছি
আমি ঠগ মানুষ দেখেছি
আমি শঠ মানুষ দেখেছি
আমি খুনি মানুষ দেখেছি
আমি ধর্ষক মানুষ দেখেছি

আমি এদের সবার চোখেই একটা ভয় দেখেছি
আর সেই ভয়কে আড়াল করে
হিংস্রতার মুখোশ।

আড়াল

তোমায় বলা কথাগুলোর আড়ালে, আমার না বলা কথাগুলো আছে।
বোঝো তুমি?

সারাদিন দূরে থাকার অভিনয়ে
কাছে থাকতে চাওয়ার কাঙালপনা ধরা পড়ে তোমার চোখে?

তুমি পাশে আসলে আমার বেহায়া মনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিকে ছদ্ম শালীনতায় ঢাকি।
দেখতে পাও?

পারি না


আমার ঘুমের আশে পাশে টহল দিচ্ছে
কিছু সশস্ত্র প্রহরী
স্বপ্নগুলোতে কারফিউ জারি।
আমার ভাবনাগুলোর চারপাশে টহল দিচ্ছে কিছু সশস্ত্র প্রহরী
খবরের কাগজে ওদের পায়ের ছাপ।
ভাষার সাথে সত্যের ভুল বোঝাবুঝি-
সত্যগুলো মিয়ানো পাঁপড়ের মত বানাতে চায় ওরা
আমি সেঁক দিয়ে রাখি মননের উত্তাপে
মিয়ানো সত্যে গা গুলায় আমার এখনও।
জল ছিটিয়ে গোলাপ তাজা রাখি না-

স্নেহ

কিছু দৃষ্টি ছায়ার মত
রোদে তাপে হঠাৎ ঠান্ডা জলের মত।

বয়স বাড়তে বাড়তে সে ছায়াদৃষ্টি কমে
অনেক গাছ নেই যে আর।

তখন ছায়াহীন মরুভূমিতে সে একা।

তার চোখে তখন ছায়ার দৃষ্টি
কিছু তরুণ, শৈশবের মুখে চেয়ে।

Subscribe to কবিতা