Skip to main content

আমি শুধু

আমি শুধু
তোমার সাথে কয়েক পা হাঁটতে পারি
কাঁদতে পারি ভাঙা বুকে তোমার সাথে শত সমুদ্র
 তোমার সুখের দিনে তোমার বাগানে
     গ্রীষ্মের দুপুরে
        গোলাপের চারা লাগাতে পারি
                তুমি না চাইলেও।

তবু সে ঘুরছে

মা ভাল নেই। মা অসুস্থ।
তাই অসুস্থ তার সন্তান। সন্তানেরা।
   লক্ষ কোটি কোটি অগুনতি সন্তানেরা।

তবু সে ঘুরছে। প্রদক্ষিণ করে চলেছে সূর্যকে।
   অসুস্থ শরীরেও। সে ভালো নেই।
অপুষ্ট সন্তানদের বুকে করে সে ঘুরছে

আমাদের তার না হলেও চলত
   তাকে না হলে চলবে না আমাদের

ওঠো

জানলাটা খোলো। দরজাটা খোলো।
ওরা অনেকবার তোমার দরজায় টোকা দিয়ে গেছে।

কারা?

এক নদী জল
  আর এক আকাশ তারা

মলাটটা ছেঁড়ো। ভূমিকাটা মোছো।
ওরা অনেকবার এ পাশ ও পাশ করে ঘুমিয়ে পড়েছে।

কারা?

     এক পাহাড় স্বপ্ন
        আর একমুঠো স্বচ্ছ কবিতারা

আড়ি

মৃত্যুকে কতবার বলেছি আড়ি
যা    যা    যা
নেব না তোকে খেলায়,
       যাব না তোর বাড়ি
আড়ি      আড়ি      আড়ি

ব্রত

আমি ধ্রুবসত্য কি জানিনি
   খুঁজিনিও কোনোদিন

আমার বুকের ভিতর থেকে
মিথ্যাকে স্বীকার করিনি কোনোদিন
    যত রমনীয়, যত মনোহর
    যত আরামের, যত কমনীয়
       সে হোক

অসহ রাত, অসহ বিচ্ছেদ
অসহ বিভীষিকা, অসহ পথ
    হয়েছে সহনীয় অবশেষে

যাত্রা

ডানা ঝাপটালো ওরা
    উড়ে গেলো

নোঙর খুলল সে
    ভেসে গেলো

ধূষর আকাশে লাগল
ওদের পাখার হাওয়ার কাঁপন

বিষণ্ণ নদীতে লাগল

দাঁড়ের আঘাতের চাঞ্চল্য


(ছবিঃ পল্লব কুন্ডু)

প্রণাম

প্রতিদিন সকালে একটা করে ফুল নিও
  সে বেদীতলে রেখে এসো
যেখানে ভোরের সূর্য তার প্রথম প্রণাম নিয়ে আসে
  তোমার প্রণাম অক্ষয় হবে
   সে চরণের ধূলোর সাথে।
পশ্চিমের সূর্য তোমায় ডেকে নেবে
 সে ধূলার স্পর্শের আলিঙ্গনে।

  তুমি সার্থক হবে
  সার্থক হবে তোমার প্রথম চোখ মেলার ক্ষণ।

আশ্রয়

আমার আশ্রয় কাঁচা অথবা পাকা বাড়ি নয়
  যে ভূমিকম্পে বা বন্যায় ধ্বংস হবে

আমার আশ্রয় অর্থ, মণি- মাণিক্য নয়
 যে চোর ডাকাতে নিয়ে যাবে

আমার আশ্রয় পাণ্ডিত্যের শংসাপত্র নয়
 যে তা হারালে আমার সর্বস্ব যাবে

আমার আশ্রয় আমার ওপর তোমার বিশ্বাস
   বারবার ভেঙে পড়লেও
      যা ফিরিয়ে দিয়েছে তোমার চোখ

অহংকার

তোমার তুমি
   খানিকটা বিধাতার সৃষ্টি

অপেক্ষা

হাট ভেঙে গেছে কখন
   আমি ফিরতে পারলাম না
Subscribe to কবিতা