দ্বিধা
বলতে আটকাচ্ছে
দ্বিধায় হোঁচট খেলাম ক'বার
(গুনিনি)
চিন্তার রাজ্য অবিভক্ত
কে বলল?
সীমারেখা আছে তো!
আছে বুনো ঝোপঝাড়
না চলা, অতি চলা, কম চলা পথ
অসতর্ক হয়ে কাঁটা ফোটেনি পায়ে?
আচমকা কুয়াশায় রাস্তা হারায়নি?
এসো
কেন এসেও এলে না?
আমি অন্যমনস্ক ছিলাম?
না তুমি ছিলে সংশয়ে?
একবার সব ছেড়ে এসো
মনে হবে
একদিন সব ছেড়ে গিয়েছিলে
ভাগ্যে
ভাগ্যে তুমি আমার সামনে অতবড় প্রাচীরটা তুলেছিলে,
না হলে জানতেই পারতাম না - আমি এতটা উঁচুও চড়তে পারি!
ভাগ্যে তুমি আমার সামনে এতটা অন্ধকার তৈরি করেছিলে
না হলে জানতাম কি করে- আমি এত অন্ধকারেও দেখতে পারি!
বিকল্প
সারাটা জীবন এমন ভাব করলে
যেন তোমার জমিতে রয়েছে শুধুমাত্র একটা আগ্নেয়গিরি
আর তোমার কাজ যেন একটাই -
সকাল সন্ধ্যে, বর্ষা বসন্ত
শুধুই অগ্ন্যুৎপাত ঘটানো
কেন গো
জমিতে একটা বাগান করলে কি হত?
শক্তি মানে কি শুধুই আগুন?
শিকড় না?!
তবে ধৈর্য মানলে না কেন?
নোনতা কমলালেবু
একটা কমলালেবু। তুমি দাঁড়াও,
আমি একটা একটা কোয়া ছাড়িয়ে তোমার হাতে দিই,
তুমি খাবে কি না খাবে, তা শুঁকে দেখে ঠিক কোরো ...
অপেক্ষা
সকালের আলোয়
ফুটবে বলে ...
আজীবন
নিজের থেকে পালাবে বলে ঈশ্বরকে খুঁজলে আজীবন
ঈশ্বরের মুখোশের আড়ালে কে যেন ভয় দেখিয়ে গেল তোমায় আজীবন
কলঙ্কে তোমার ভয়
তাই কলঙ্ক সৃষ্টি করলে মনের আনাচেকানাচে
ওদের ধুয়ে ধুয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে আজীবন
ভুলে যাও
প্রতিবার তোমার হাত ছুঁতে গেলে ভয় হয়
মনে হয়, বুঝি ধরা পড়ে যাব!
সব দুর্বলতাগুলো
স্পর্শে অনুদিত হবে
তুমি ছুঁয়ো না আমায়
দূরে থাকো
অজস্র সহস্র মুহুর্ত দূরে থাকো
ভয়
ততদিনের নিশ্চিন্ততা
যতদিন একেও নকল না করে
বাজারে আনে কালো ছাপ
ফাঁকি যদি ধরতে না পারি
নতুন বন্দুকের যতই বড়াই করি
ওদিকে বাঘেও শিখছে নতুন লাফ
তাই মনে বাসি ভয়
কোন ক্ষমতা রাতারাতি
আবার রাজ ইঙ্গিতে লোপ হয়
সরিষার মধ্যে ভুত
দুষ্ট মাছ ধরা পড়িবে, জাল বিছানো হইল। জালে ধরা পড়িতে লাগিল, খাবি খাইতে লাগিল শুধু চুনোপুটি। রাজা বলিলেন, বড় মাছ কই?
পাত্র-মিত্র-সভাসদ আদি সবাই কহিল, তাই তো, বড়মাছ কই?
মন্ত্রী কহিল, আসিবে।
পাত্র-মিত্র-সভাসদ সক্কলে কহিল সমস্বরে -
আসিবে, আসিবে, আসিবে