ঈশ্বর কোনোদিন কোথাও বেড়াতে যাননি। কারণ বেড়াতে যাওয়ার মত কোনো জায়গা নেই ওঁর, কৌতুহলও নেই। কারণ তিনি নিজের সর্বজ্ঞতায় অসহায়।
ঈশ্বর কারোর সঙ্গে কথা বলেননি কোনোদিন। যাবতীয় যা কিছু ওঁর কথা বলে চালিয়েছে মানুষ, উনি প্রতিবাদও করেননি কোনোদিন, না করেছেন সমর্থন। কারণ ঈশ্বর কারোর সঙ্গে কথা বলেননি কোনোদিন।
ঈশ্বর অন্যায়, অবিচার, নিষ্ঠুরতার সাক্ষী থেকেছেন তা চরম হলেও, কারণ ওঁর অসীম স্মৃতির সমীক্ষায় কোনো কিছুর আশু সমাধান ওঁর প্রকৃতিবিরুদ্ধ….নিন্দা প্রশংসায় স্থিতধী ঈশ্বর তাই নিহত শিশুর শেষ আর্তনাদকে মিলিয়ে নেন মহাকালের গভীরে….অনায়াসে…ভ্রুক্ষেপহীন…হেঁটে যান শান্তির শিশিরবিন্দুর উপর পা রেখে রেখে….কী কোমল সে পা!
ঈশ্বর বিচার করেননি আজ অবধি। স্বর্গ, নরকের স্বপ্নে বিভোর মানুষের মস্তিষ্কর উপর যে আবরণ, সে ওঁর নিপুণ হাতের সৃষ্টি। ভয় ওঁর পিছন পিছন ফেরে পোষ্যের মত। ঝাঁপিয়ে পড়ে এর ওর ঘাড়ে যখন তখন। ঈর্ষার দখল লড়াই দেখতে দেখতে উদাসীন হন উনি সূর্যাস্তের রঙে। আরেকটা দিন শেষ হল, এই অনন্ত সময়ের শৃঙ্খলে। ঈশ্বর কঁকিয়ে ওঠেন। এ শৃঙ্খল ছিঁড়ে বেরিয়ে যাবেন একদিন সব শূন্য করে। কাতর ঈশ্বরের বুকে জাগে নির্বাণের আকাঙ্খা, ধূমায়িত ঈশ্বরত্বের জাল ভেঙে।[