গণতন্ত্র
আজ প্রতিদিন না। আজ অন্যদিন। আজ এ বলবে, "খবরদার!" সে বলবে, "তবে রে!"
একজন বলবে, "ওঠো" অন্যজন বলবে, "বসো"। ঘরে থাকলে এ কূলের গোঁসা, বাইরে গেলে সে কূলের! যাই কোথা?
অ্যা-পলিটিক্যাল
আচ্ছা আপনাদের কি কোনো কাণ্ডজ্ঞান নেই! আমি বিজ্ঞানী মহাশয়দের বলছি। দু'দিন ধরেই ভয় দেখিয়ে চলেছেন – কলকাতার নীচ দিয়ে এমন একখানা পাত গেছে নাকি যে, তা একবার নড়েচড়ে বসলেই সব হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে। আজ আবার আরেকদল বিজ্ঞানী বলছেন, উঁহু শুধু তা তো নয়!
জোঁক না, কেঁচো হই এসো
আমার সহযাত্রীদের কথা বলি। আমার পাশেই আছেন একজন আসামের প্রত্যন্ত গ্রামের মাঝবয়সী একজন ব্যক্তি। নীল টি-শার্ট আর খয়েরী রঙের প্যান্ট পরা। কাল দশটার থেকে মুখের অভিব্যক্তির খুব একটা পরিবর্তন দেখিনি। বসার ভঙ্গীও প্রায় একই রকম। পূর্ণ নির্বাক।
ভারত আর ইন্ডিয়া
ব্যাঙ্গালোর থেকে ফেরার পথে এখন। স্লিপার ক্লাস। ছোটবেলায় বাবার রেলের চাকরীর কারণে যেখানেই বেড়াতে যেতে হত, AC 2/3 তে যেতে হত। খুব রাগ লাগত। কারণ একটাই, রাত্রে জানলা দিয়ে কিছু দেখা যেত না। মনে আছে, আমি বেড়াতে যাওয়ার টিকিট কাটা হলেই দেখতাম সেদিনটা পূর্ণিমা কিনা। আরে তবু কিছু তো দেখা যাবে!
পয়লা বৈশাখ
এই প্রথম পয়লা বৈশাখ কাটালাম বাংলার বাইরে। বাংলা গান ছাড়া। আমি এখনো জানি না এটা বাংলার কোন সাল পড়ল। কাজের জগতে যেহেতু তার দরকার নেই, তাই দিনের খাতাতেও তার হিসাব নেই। থাক, নাই বা জানলাম।
আমার জীবনে বাংলা দেওয়াল পঞ্জিকা বা ক্যালেন্ডার তিনটে দিনেই ইংরাজী ক্যালেন্ডারকে সরিয়ে দাঁড়ায়। পয়লা বৈশাখ, পঁচিশে বৈশাখ আর বাইশে শ্রাবণ।
একমুখী
এই মুহুর্ত্তে আমি হাওড়া-যশোবন্তপুর দুরন্ত এক্সপ্রেসে আছি। সারা ট্রেন থিকথিক করছে বাঙালী। যেন বাঙলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাচ্ছে ট্রেনটা। কিন্তু তা তো নয়। এক রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে এতগুলো মানুষ প্রতিদিন ছুটছে - কাজের জন্য, উচ্চশিক্ষার জন্য। দোকানের কাজ থেকে শুরু করে আইটি-র বড় বড় কম্প্যানীতে কাজ করেন এঁনারা, অনেকের সাথে কথা বলে জানলাম।
এসেছ কি হেথা...
বহুকাল আগে, কবি আক্ষেপে গেয়ে উঠেছিলেন –
"এসেছি কি হেথা যশের কাঙালি কথা গেঁথে গেঁথে নিতে করতালি - মিছে কথা কয়ে, মিছে যশ লয়ে, মিছে কাজে নিশিযাপনা"
সেই সুর, অন্য রাগে বাঁধা পড়ল শুনলাম Yashodhara Ray Chaudhuri র একটা লেখায় আজ। তিনি তার অনেক পুরোনো একটা কবিতায় লিখেছিলেন –
'বিশ্বাস, জরুরি, আর বিশ্বাস, সচ্চাই, ধুলোহীন...