Skip to main content

লড়াই চলুক

সব নিয়ে লড়াই চলুক। তর্ক চলুক। প্রশ্ন উঠুক।
  শুধু সব কিছুর শেষে যেন মানুষের আত্মসম্মানটাই জয়ী হয়। সেটুকু বেঁচে থাকলেই সে বাকিটা আবার তৈরি করে নিতে পারবে। ...

সতর্ক আর সচেতন

সতর্ক আর সচেতন - দুটো এক শব্দ কি? নয়। আমার দাঁতে ব্যথা, আমি সতর্ক হয়ে আছি, এই বুঝি ব্যথা লাগল। ঠাণ্ডা, গরম, কঠিন খাবার এড়িয়ে যাচ্ছি। ব্রাশ করছি সতর্কভাবে। আবার কারোর দাঁতে কোনো সমস্যা নেই, তবু সে দাঁতের যত্ন নিয়ে ভীষণ সচেতন। দুবেলা ব্রাশ করা, খুব ঠাণ্ডা-গরম এড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদির মাধ্যমে।

বিদ্যালয়

বইয়ের পাতাগুলো একটা বাঁধুনিতে বাঁধা থাকে। খেয়াল পড়ে না। পাতার পর পাতা উলটে যাই, অক্ষরের মর্মে অবগাহন করি, কিন্তু বাঁধুনির কথা মনে থাকে কি?

ঈর্ষা

 

তখন আমাদের বাড়ি হয়নি। রেলকলোনিতেই থাকি। এরকম মেঘলা দিন একটা। মায়ের সঙ্গে বসে গল্প হচ্ছে। বিষয়, কেমন বাড়ি মা চাইছেন, কোথায় চাইছেন ইত্যাদি।

আমি ম'লে ঘুচিবে জঞ্জাল

একজন হনুমানের একটা ছবি আঁকলেন। ছবিটা এমন, ফ্রেমের মধ্যে হনুমান বসে। লেজটা ফ্রেমের বাইরে বেরিয়ে অনেকখানি।...

ভালোবাসায় পাঁক জমেছে

কুয়ো ঝালাতে লোক এলো। বলল, কদ্দিন পরিষ্কার করা হয় না, এত পাঁক! তাই তো এত গন্ধ!

পুরুষোত্তম আগরওয়াল ও জাভেদ আখতার

নতুন বাড়িতে একটা সমস্যা হল। জল ঢুকে বাড়ির দেওয়াল খারাপ করে দিল।
     বাড়ির মালিক বলল, ভাই এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না।
     এখন ইঞ্জিনিয়ার বেশ চালাক মানুষ, সে হাজার একটা কারণ দেখিয়ে বলল, স্যার, এটা পসিবল, এটা অসম্ভব কিছু নয়, এটা তো হতেই পারে।

জাগতে রহো

গন্তব্যে যেতে হবে। নদী উত্তাল। তায় রাতের অন্ধকার। নৌকায় ছয়জন যাত্রী।
          ইনস্টিংক্ট বলল, আমার স্থির বিশ্বাস দক্ষিণ দিকে আর চোদ্দোবার দাঁড়া টানলেই পৌঁছিয়ে যাব। আমার গাট ফিলিংস।
          ইন্টেলিজেন্স বলল, চুপ কর আহাম্মক, তোর এই গাট ফিলিংস এর ঠেলায় কতবার ডুবতে ডুবতে বেঁচেছি আমরা। আমার হিসাব বলছে দক্ষিণ দিকে আরো মাইল তিনেক গিয়ে একটা বাঁক আসবে, যা পড়েছিলাম, তারপর হয় তো পশ্চিমের শাখাটা ধরে এগোতে হবে।

বিশ্বাস মানেই সুখ

সুখ একটা বিশ্বাস। বিশ্বাস করলে আছে, না করলে নেই। তুমি সুখ খুঁজবে কোথায়? এই পাড়, ওই পাড়, হালে, বৈঠায়, স্রোতে... আসলে সুখ নেই কোত্থাও। সুখ মানে বিশ্বাস।

          লটারির টিকিটগুলো সাজিয়ে, মা তারা, লোকনাথ বাবার ছবিতে ধূপ দিয়ে যে লোকটা চেয়ার পেতে বসল, সে সুখ বিক্রি করবে এখন। যে কাটবে, সে বিশ্বাস করবে, হয়তো এবার ভাগ্য ফিরবে। এই বিশ্বাসেই তার সুখ। টাকা পেলেই যে সুখী হবে, সে এখনও নিশ্চিত জানে না তো। তবু সে কিনবে। সে বেচবে সেও জানে না তার টেবিলে কার ভাগ্যের সংখ্যা রাখা। তার বিশ্বাস কেউ না কেউ পাবে। নইলে এর তার চোখের দিকে তাকাতে এলেম লাগত।
...

একাকীত্ব নেই তো

একটা কুকুর কিম্বা বেড়াল পুষতে পারো তো, তবে তো একা লাগে না। 
কিন্তু যে আমায় ভালোবাসতে বা আমার অনুগত হতে বাধ্য, তার ভালোবাসা বা আনুগত্য পেতে যে আমার লজ্জা বোধ করে। যে আমায় প্রত্যাখ্যান করার স্বাধীনতা পায় না, যার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য আমার আনুগত্য স্বীকার করা ছাড়া তেমন কোনো প্রশস্ত পথ নেই, তাকে ঘাড়ে, পিঠে বয়ে কি করব? সে বরং আমায় সত্যিই একা করবে। স্বয়ং ঈশ্বর যখন আমায় তাঁকে স্বীকার করা বা অস্বীকার করার স্বাধীনতা দিয়েছেন, তখন কাউকে কোনো কিছুতেই বাধ্য করতে আমার রুচিতে বাধে।
....
Subscribe to চিন্তন