Skip to main content

রজনী

পয়মালের জামা। রজনী নিজের শুকনো কাপড়টা তুলতে তুলতে খেয়াল করল। পয়মাল ইচ্ছা করে তার শাড়ির পাশে মেলে গেছে। রজনী আড়চোখে একবার নিত্যকে দেখে নিলো। নিত্য খেয়াল করেনি। সে ধান সিদ্ধ করতে মশগুল।
        রজনীর গায়ের রঙ কালো। বিয়ের সময় একেবারে ছিপছিপে গড়ন ছিল। লোকে বলত কেউটে। তার চোখে, চলনে নাকি বিষ। অবশ্য বিষ ছিল বলেই বাপটা মরার পর গ্রামে টিকতে পেরেছিল। নইলে ছিঁড়ে খেত তাকে শকুনের দল।
...

ডাক


বৃষ্টি যখন লাগাতার তখন মন কিছুটা বেসামাল। একা মনে বৃষ্টি সংক্রমিত হয় তাড়াতাড়ি। ঘরবাড়ি-প্রতিবেশী-কাজ-দায়িত্ব সব অর্থহীন। অনেক দূরের।

নীলপাখী

সকাল সাড়ে ৭টা। সমীর এই সময়টা এখন ছাদে এসে বসে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। ঠাণ্ডাটা মোটামুটি। খুব একটা লাগছে না। হালিসহরের এদিকটায় তত ঘনবসতি এখনো হয়নি। চারদিকটা বেশ সবুজ। কুয়াশামাখা রোদের আলো, ঠাণ্ডা হাওয়া
...

বিষ্টুবাবু

"গড়গড় করে নামতা বলতে পারো না? তবে কি পারো? লাফিয়ে ট্রেনে উঠতে পারো? রিকশায় বসে আকাশের দিকে তাকাতে তাকাতে নিজেকে নিজে গল্প শোনাতে পারো? পা'টা সুড়সুড় করছে? কোথায় যাবে? এত যাওয়া যাওয়া কেন?"
...

দেহান্তর

লোকটা প্রতিদিন ওর ছবিটার পাশে এসে দাঁড়ায়। ধূপের গন্ধ টের পায়। ফুলের রঙ চোখ ছোঁয়। শুধু ছুঁতে গেলেই মনে হয় - কেন যে তার শরীরটা নেই? মানে হাত পা আর কি! ...

বশীকরণ

নিবারণ সমাদ্দার ওলটা সিদ্ধ করতে দিয়ে চুপ করে তার দোকানের সামনে এসে বসে আছে। নিবারণের দোহারা মাঝারি উচ্চতা। চাপা রঙ। বেশ গোলগাল মুখ। একটা নীল শার্ট আর ধুতি পরে দোকানের সামনের বেঞ্চে বসে পা দুলাচ্ছে। বয়েস এই পঞ্চান্ন'র কাছাকাছি হবে। বাড়িতে স্ত্রী আছে (বাসন্তীদেবী, লোকে বলে উনি বাপের বাড়ি গেলে নাকি পাড়ায় কাক-চিলের সংখ্যা বেড়ে যায়) আর এক মেয়ে, নাইনে পড়ে, ফুলটুসি।

বড়দিন


ছেলেটা ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল সকালবেলা। গ্রামের নাম বিলালপুর। শীত পড়েছে বেশ। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি।
আচমকা ঘুড়িটা সোঁ সোঁ করে আকাশে উঠতে লাগল। ছেলেটা প্রথমটা ঘাবড়ে গেল। ভাবল ঝড় শুরু হল? না তো, আশেপাশে গাছগুলোর মাথা তো দুলছে না। সে যখন খুব ছোট তখন একবার ঝড়ে তাদের বাড়ির টিনের ছাদ উড়ে গিয়েছিল। খুব ভয় পেয়েছিল। সে কি কান্না তার! মনে হচ্ছিল তার বাবা মা সক্কলকে বুঝি উড়িয়ে নিয়ে যায়।

অজগর

(কাল - প্রাক্ স্বাধীনতা; স্থান - বাংলার অখ্যাত একটি গ্রাম)

বাঁক



---

Subscribe to বড়গল্প