Skip to main content

নূপুর

মন্দিরে এসে দেখে গোপাল নেই। ভোগ সামনে, প্রদীপের শিখা জ্বলে জ্বলে শ

যদি উত্তর দেয়

ইলা মৃত্যুর পর কাশী চলে এলো। বিরাশি বছরের হাত-পা-বুক-মাথা-পেট ছেড়ে আসতে ব্যথা পেল কই?

অশ্রদ্ধা

সমস্যাটা চূড়ান্ত আকার নিল পুলকের কাজটা চলে যাওয়ার পর। একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে সেলসের কাজ করত পুলক। আহামরি কিছু মাইনেপত্র না হলেও চলে যাচ্ছিল একরকম। তিস্তার

বিভাজিকা

ঢুকতেই বিপুদা বলল, বাইকটা এনেছিস?

তিনটে মৃতদেহ

মাথায় ব্যাণ্ডেজ করতে করতেই ঘুমিয়ে পড়ল ঠানদাদু। আশির উপর বয়েস। দোতলা বাড়ি। দিদা পাশের ঘরে শুয়ে। প্যারালাইজড। 

     উদিত চুপ করে বসে টুলে। বিছানার পাশে। এই ঘরের গন্ধ ভীষণ চেনা। ছোটোবেলা থেকে এ বাড়ি যাতায়াত। বুবুনদার কাছে অঙ্ক করতে আসত। বুবুনদা নেই। আত্মহত্যা করেছিল। ডিপ্রেশন। 

মোহনায় ফিরে

লতা
======

প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে প্রতিটা মানুষ যা নতুন করে শেখে, জানে তা বিশ্বসংসারের কাছে আদতে পুরানো। যে শিশু হাঁটতে শিখছে আর যে মানুষটা মৃত্যুর পায়ের শব্দ সারা শরীর জুড়ে অনুভব করছে, এই দুই তাদের কাছে প্রথম, নতুন। কিন্তু বিশ্বের কাছে চিরকালের। 

অসময়


---
উপাধ্যায় মশায়ের সারারাত উত্তেজনায় ঘুম এলো না। কলেজে পড়ায়। পলিটিকাল সায়েন্স পড়ায়। বিজ্ঞানচর্চার পাশাপাশি জ্যোতিষচর্চাতেও নামডাক আছে। রবিবার বিকেলে তো বাড়ি থিকথিক করে মানুষে। কত দূর দূর থেকে লোকজন আসে। উপাধ্যায় মশায়ের বাবা, শিবপ্রসাদ উপাধ্যায়ও ছিল খুব বড় জ্যোতিষী। পসার জমাতে বেশিদিন লাগেনি তাই রামপ্রসাদ উপাধ্যায়ের। রামপ্রসাদের বয়েস এখন বাহান্ন। নাতি-নাতনি নিয়ে ভরা সংসার। বড় ছেলে থাকে মেলবোর্নে। ওখানেই চাকরি। মেজ থাকে লক্ষ্মৌতে, গাড়ীতে এক-দেড় ঘন্টা লাগে। সেজ বারাণসীতে, শিবমন্দিরের পুজারী। ছোটোটা… মনে করতে চায় না, উচ্ছন্নে গেছে। বিয়েও করেছে এক মুসলিমকে। রামপ্রসাদ একরকম ত্যাজ্যপুত্রই করেছে তাকে। শুধু স্ত্রী রম্ভার জন্য মাঝে মাঝে আসতে দিতে হয়। তাও শুধু ছেলেকে, বউ সে বেঁচে থাকতে এ বাড়ির ছায়াও মাড়াবে না, হুকুম!

চুনের দাগ

অশান্তির হাত থেকে বাঁচার জন্যেই হোক কি নিজের জন্য একটু আলাদা শ্বাস নেওয়ার জায়গা খোঁজার জন্যেই হোক, বলাই সামন্ত যখন শ্যামবাজার ছেড়ে রাণাঘাটের ওদিকে একটা গ্রামে বাড়ি করল, সবাই আশ্চর্যই হয়েছিল। বলাই সামন্ত ব্যবসায়ী।

রঙচটা দেবী

সমাজে নিয়ম-নীতির অভাব ছিল না। ধর্ম আর ধর্মপ্রাণ মানুষেরও অভাব ছিল না। তবু মেয়েটা দুশ্চরিত্র হল। কেন কিভাবে দুশ্চরিত্র হল সে নিয়ে তো বহু শাস্ত্র, পুরাণ, সাহিত্য, কবিতা লেখা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো হবে। সে সব কথা থাক। মেয়েটা যে দুশ্চরিত্র তার পাড়া প্রতিবেশীরা জানত, বাড়ির লোক জানত, ভগবান জানত। পাপের ভয় সবাই পায়।
...
Subscribe to বড়গল্প