Skip to main content

লোকটা

এত হাসতে আমি লোকটাকে কবে দেখলাম?

জলের ফাঁকা বোতল

পরেশের বাবা যে রোগে হঠাৎ চলে গেল, পরেশও গেল সে রোগে। সন্ন্যাসরোগ। পরেশের বউ বাচ্চাটাকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেল। এখানে থাকলে খাওয়াবে কী আর পড়াশোনাই বা কী করে

রাশিয়ার চিঠি

আরেকবার ‘রাশিয়ার চিঠি’ পড়ার দরকার মনে হচ্ছিল। কেন মনে হচ্ছিল সেটা

মানুষের সত্য

পণ্ডিত বলল, যে একই সঙ্গে দুটো খরগোশ ধরতে যায়। সে একটাও পায় না। বাউ

অবশেষে

অবশেষে আর নিঃশেষে ওরা যা চায়

যাক

কথা বন্ধ। কিন্তু কান্না বন্ধ করবে কে?

ভাঙা গোপাল

ভাঙা গা। নীল গোপাল। মাটির গোপাল। রঙ চটেছে। ভাব চটেনি। নিত্যরাধা গঙ্গার ধারে বসে। রোজ বসে। একটা ছোটো পেতলের বাটিতে চন্দন। আর তুলসীপাতা। যে চায়

বায়না

শ্রীরাধিকা বায়না ধরলেন নিকোপার্কে গিয়ে

সিউডোসায়েন্স

একটা সময় ছিল যখন অ্যাড দেখতে ভালো লাগত। তখন অবশ্য অ্যাড বলা অভ্যাস ছিল না। তখন বলতাম

সংশয়

সব সিদ্ধান্তেই সংশয়ের জন্য একটা আসন রাখা খুব জরুরি। যার সংশয় নেই,

বসন্তবাবু অবসাদে ভুগতেন না

বসন্তবাবু ছাদের দিকে তাকিয়ে দুপুর কাটান। একা মানুষ। চিন্তা করতে বাধা নেই। চিন্তা করতে করতে পায়ের বুড়ো আঙুল থেকে মাথার পিছনটা অবধি ভার হয়ে ওঠে। নিজে

জনার্দনবাবুর দুঃখ

জনার্দনবাবুর দুঃখ হয়। কারণ দুঃখ পাওয়ার মত দুঃখ কিছু নেই। জাগতিক যা যা থাকলে সুখী হয় মানুষ

সহায়

সে সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। জোড় হাতে দূর থেকে প্রণাম করে বলল, পাপী আমি।

সিউডোসায়েন্স তথা চাতুরীবিজ্ঞান

আজ একটা প্রথম সারির ইংরেজি দৈনিকে দেখলাম, "Science behind Surya tilak" কথাটা। ধর্মীয় ভাবাবেগ ধর্মের জায়গায়। সেখানে নিশ্চয়ই অন্যের ভাবের প্রতি আমার শ্রদ্ধা থা

বাঙালির ইষ্টচেতনা

বাঙালির ইষ্টচেতনা একটা জটিল প্রশ্ন। রামনবমী উপলক্ষ্যে দেখলাম বাংলা কাগজেও শ্রীরামচন্দ্রকে নিয়ে লেখা হয়েছে। আগে লেখা হত হিন্দি কাগজগুলোতে। প্রেক্ষাপ

তাপগ্রাহী আর তাপমোচী

মানুষও তাপগ্রাহী আর তাপমোচী হয়। তাপগ্রাহী দুর্লভ। তাপমোচী সুলভ। যত কাছে যাবে তত আঁচ গায়ে লাগবে। যত দূর থেকে দেখবে তত শীতলতা থাকবে।

আমাদের ধর্ম

একদিন বিবেকানন্দ বলেছিলেন, খুব দুঃখের সঙ্গে বলেছিলেন, আমাদের ধর্ম নাকি হেঁশেলে ঢুকেছে। সেই হেঁশেল থেকে বার করে চরিত্র গঠনের উপর জোর দিতে চেয়েছিলেন মানুষটা। <

ভয়

অর্জুন বিশ্বরূপ দর্শনে ভয় পেয়েছিলেন। “ভয়েন চ প্রব্যথিতং মনো মে”। আমার মন ভয়ে ব্যথিত হয়েছে। ভয়ে ব্যথা জন্মায় মনে।

সফটোভ্যাক

আমার বন্ধু দুপুরে ফোন করল অফিস থেকে, বলল, ব্যস্ত?

অলীক সুখ

ওভারব্রীজে দাঁড়িয়ে নীচে আপ-ডাউন ট্রেনে লোকের আসা যাওয়া দেখছিলাম।

শ্রাবণ আর স্বামীনী

সুরদাস যখন যমুনার তীরে এসে দাঁড়ালেন তখন কালো করে এসেছে আকাশ। গতকাল সারারাত ঘুম হল না। বুকের মধ্যে এমন একটা কষ্ট জমাট বেঁধে থম ধরে ছিল, বুঝেছিলেন আজ বৃষ্টি হব

মন আমাকে দাও

এক মহিলা শ্রীরামকৃষ্ণর পাশে বসে। সদ্য আট বছরের সন্তানকে হারানো মা। কোল খালি। বুক খালি। গোটা সংসার খালি হয়ে গেছে। সামনে শুয়ে আছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। গলায় ক্যান্সার। কয়েকটা হাড়। চোখ দুটো কোটর

বিচার

বিচার ঠিক ভুল হয় না। বিচার আইনানুগ হয়। সভ্যতার সেই প্রাচীন কালে সক্রেটিসের বিচার আইনানুগ ছিল। খ্রীষ্টের বিচার আইনানুগ ছিল। আমাদের দেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সম

আমার অ্যাগনেটোলজি

প্রথম কথা এটা মনে রাখতেই হবে, মানুষ হয়ে জন্মেছেন মানে বোকা হবেন বলেই জন্মেছেন। “আমি কোনোদিন বোকা হব না” এই বোকামিটা করবেন না প্লিজ। বোকা হতে হতে বড় হবেন। বুড়