Skip to main content

বঙ্গ সংকট

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কঠিন সময় এখন। কোনদিকে যাবে, কার দিকে ভরসায় তাকাবে, এ ভেবে আকুল, বিশেষত ভদ্রকূল।

রোদ। ছায়া। জল।

যীশুবাবার মন্দিরের সামনে প্রচণ্ড ভিড়। আজ শুক্রবার যে। আজ জলপোড়া দেওয়া হবে। মাটিপোড়া দেওয়া হবে কপালে তিলকের মত করে। তিনবেলা বাড়িতে মোমবাতি জ্বালিয়ে যীশুবাবার

ধোঁয়া। কাক। আর হোগলা বন।

শ্রাদ্ধের মন্ত্রোচ্চারণ হচ্ছে। অমল স্পষ্ট দেখল মা আসছে। কাঁধে একটা কাক। মা বাড়ির সামনে দাঁড়ালো। উঠানে ধুনো ধুপ জ্বালানো। গীতা পাঠ করছে পোস্টমাস্টারের দাদা। ত

আমি কোথায়?

টিভিতে শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন হচ্ছে। কি কি ভিটামিন আছে। তারপর কোন তেল হার্ট অ্যাটাকের চান্স কমায় সেই তেলের বিজ্ঞাপন হল। তারপর এলো কোথায় টাকা রাখলে আমার ভবিষ্যৎ স

মার্কেটিং

সন্ন্যাসী গাড়ি থেকে নামলেন। পঞ্চাশটা কম্বল বিতরণ করলেন গরীবদের মধ্যে। যাদের মধ্যে ঈশ্বর। যাদের মধ্যে দিয়েই তাঁর মুক্তি পাওয়ার রাস্তা<

বর্ণ গ্রহ

মা মেয়েকে বলল, তুমি কোথায় টিউশন পড়তে যাও, স্কুলে কাউকে বলার দরক

ঝড়, মাঝি আর মুরগী

নৌকাটা বাঁধা ছিল ঘাটে। দীর্ঘদিন। কবে যে দড়িতে পচন ধরেছিল, কেউ জানত

মেলা আর ফেরা

অবশেষে কী চায় মানুষ? অনেকটা রাস্তা পেরিয়ে, অনেক ঝড়জল, চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসে কী চায়? যদি তাকে তার ভাগ্য মানসিকভাবে সুস্থ রাখে শেষদিন অবধি, তবে সে কী চায়?

রৈলিক জীবন

আমার পড়ার ঘরে, একতলায় আছি। একটা বইতে ডুবে আছি। হঠাৎ শুনতে পেলাম উপরের তলা থেকে কেউ বলছে, "আমি তো বেইমান। মানুষমাত্রেই বেইমান।"

পাকুর সরস্বতী পুজো

দেবী সরস্বতী দাঁড়িয়ে। সামনে খিচুড়ির গামলা। ওদিকে বড় বড় বক্সে "মেরে মেহবুব মেরে সনম" গান হচ্ছে। নাচছে অনেকে।

শুন কন্যা

সরস্বতী বড় ভালো মেয়ে। বাবা কাজ থেকে ফিরে এলে বাবাকে জল এগিয়ে দেয়। মাকে রান্নায় সাহায্য করে। কুটনো কুটে দেয়। জল তুলে দেয়। বাসন মেজে দেয়। সরস্বতী স্ক

স্পর্ধা

জিজ্ঞাসা করলাম, এই যে বাড়ি হচ্ছে, এ কার বাড়ি?

অনুবাদ

আজকাল আর টানতে পারি না মা… শ্বাস আটকে আসে…..

Delusion

Not all passing moments belong to me, yet I yearn to seize them, leaving my mark on time.

মোহ

সময় যায়। মনও যায়।

 

বইমেলা ও আনটাচেবিলিটি

আত্মপ্রচারসর্বস্ব "আমাকে দেখুন" বইমেলা শেষ হল, "ভ্যানিটিব্যাগ" সদৃশ বহু বই বিকিকিনি শেষ হল, বহু "নর্দমায় আছাড়ামারার যোগ্য" হুজুগে পাঠকের বার খেয়ে তোলা লেখকরা

রটনা

“কীর্তন দেওয়া যায় নারে ভাই। কীর্তন করা যায়। পুজো দিতে লাইন দিতে হয় না রে ভাই, সব লাইন ছেড়ে ভিতরে আসতে হয়। প্রসাদ হাতে, জিভে পাওয়া যায় না রে ভাই, হৃদয়পুটে কাঙ

সমীচীন চিন্তা

রবীন্দ্রনাথের কাছে ছেলেরা নালিশ নিয়ে এলো। ভাত বড় বড় ধাতুর পাত্রে টেনে টেনে নিয়ে যেতে যেতে পাত্রের তলা ক্ষয়ে যায়। সেই ক্ষয়ে যাওয়া অংশ থেকে ভাত ছড়িয়ে চারদিক নো

মোহনায় আসা উদাসীনতা

মুখের উপর সকালের রোদ এসে পড়েছে। ভোরের রোদের সঙ্গে কথা বলে প্রশান্ত। ভোরের রোদের সঙ্গে ছোটোবেলার যোগাযোগ আছে। চোখটা বন্ধ করে আছে। তবু বন্ধ চোখের পাতার উপর দিয়

ঘরে এত জল এলো কি করে?

রোজ শেষরাতে রাস্তার লাইটটা নিভে যায়। আশ্চর্য না? সামনে বড় একটা বাঁক, ওই বাঁশঝাড়টা পেরিয়েই। তারপর ডানদিকে অত গভীর একটা পুকুর। লাইটটা কি করে নেভে?

ভিড়। বাজার। মা।

হাট বসেছে। চায়ের দোকান চালায় স্বামী, স্ত্রী। দুজনেরই বয়েস ষাটের উপর। যে বয়েসকে আমাদের পূর্বপুরুষেরা বাণপ্রস্থের জন্য বেছেছিলেন আরকি। স্ত্রী বসে বসে চা বানান।

অন্য প্ল্যাটফর্ম

সাইকেলে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে খৈনি ডলতে ডলতে সামনের দিকে তাকালো। জবা নামছে স্নান করতে।

আত্ম-ক্ষমাহীন ঘুরে বেড়াব কোথায়?

ভেবেছিলাম বড় বড় প্ল্যাকার্ড থাকবে। ভেবেছিলাম কলেজ পড়ুয়া একদল যুবক-যুবতী গলার শিরা ফুলিয়ে, গিটার হাতে সুরে-না-সুরে চীৎকার করবে।