Skip to main content

লোকটা

রাত এগারোটা প্রায়
রাস্তার উপরে হলুদ স্ট্রিট লাইটের মায়া মাখানো আলো
সার দেওয়া বাড়ি
জানলা দিয়ে গা এলিয়ে পড়া ঘরের আলো রাস্তায়
এখানে ওখানে কয়েকটা পাড়ার লালু ভুলু শুয়ে

লোকটার কাঁধে একটা কালো ব্যাগ
ওতে দোমড়ানো আজকের খবরের কাগজ
   না ধোয়া তরকারি লাগা ফাঁকা টিফিনবক্স,
আর একটুখানি অবশিষ্ট জল ছলকানো প্লাস্টিকের লম্বাটে বোতল

অসহ্য হয়ে উঠছে

দিন দিন অসহ্য হয়ে উঠছে। চিকিৎসা অনেকাংশে একটা পরিকাঠামো নির্ভর ব্যবস্থা। আমি নিজে কিছু কিছু অমানবিক ঘটনা লিখেছি। কিন্তু পুরোটাই তো তা নয়! আর এবার যে ঘটনা মেদনীপুরে হল তাকে নিন্দা করার মত ভাষা আমার অন্তত জানা নেই।

ভক্তমুক্তি অভিযান

আজ সকাল থেকে ফেসবুক পেজে ভক্তমুক্তি অভিযান চালালাম। আমার বন্ধু তালিকায় এমন কিছু মানুষ ছিলেন যাদের উপদ্রবহীন ভাবতুম। ক্রমশ আমার লেখায় তাদের ভক্তিহানীর আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন হয় মেসেঞ্জারে নয়ত প্রকাশ্যে। মাঝে মাঝে কারোর আবার নখ শিং ও বেরিয়ে পড়ছিল। তাদের সারা টাইমলাইনে বাণীর বন্যায় আমিও ওষ্ঠাগত হয়ে উঠছিলাম।

বাকি সব বোগাস

হাওড়া স্টেশান ছেড়ে ট্রেনটা যখন বেরোয় রাত্তিরবেলা কি সন্ধ্যেবেলা, ওই হলুদ হলুদ, কমলা কমলা আলোগুলো দেখলে আমার ভীষণ মন খারাপ করত ছোটোবেলায়।

এখন করে না।

সন্ধ্যেবেলায় যখন চারদিকে শাঁখ বাজত, ঘন্টা নাড়ার আওয়াজ আসত, আকাশটা শেষ আলোর রেখাকে 'যেতে নাহি দিব' বলে আঁকড়ে রাখতে চাইত বুকে, আমার বুকের ভিতরটা ফাঁকা হয়ে যেত।

এখন হয় না।

আসলে তো ভাল নেই


===


মেয়ে তুমি নিরাপদ নও
ঘরে বাইরে দেবালয়ে
কোথাও নিরাপদ নও

মানুষ - একটা দর্শন - রামকৃষ্ণ

ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার কিছুতেই অবতার মানবেন না। তিনি ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করছেন, কিন্তু কদাপি মানুষ ভগবান হতে পারে তা স্বীকার করবেন না। ডাক্তারের মত, শ্রীরামকৃষ্ণ - As man I have the greatest regard for him.

সুন্দর

সুন্দর
তুমি আগন্তুক,
চমক জাগিয়ে ডাকো

কান্না
তুমি তো একলা নদী
গোপনে বইতে থাকো

প্রেম
তুমি নিঃশব্দ বাণী
মরণে অমৃতকে ধরে রাখো

নিয়ম - প্রজ্ঞা - সার্বজনীনতা

"Fibonacci সিরিজ শিখলাম" - আমার একজন কনিষ্ঠ বন্ধু কম্পিউটার ক্লাস করে আসার পর বলল। কি বস্তু সেটা? ১,১,২,৩,৫,৮...

গুরু মানে খুব বড় কথা

গুরু মানে খুব বড় কথা। খুব বড় কথা। মানে আর কি ভীষণ বড় কথা। উফ বোঝাতে পারছি না, মানে আরকি আরো আরো আরো বড় কথা। বুঝছেন আপনারা, কি গো?

জলপটি


হরেনের দোকানের চপ খাওয়ার পর প্রতিবারই কাশীরামবাবুর এই সমস্যাটা হয়। আজও হয়েছে। তিনি দিগম্বর হয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে, আর ফলতা পিছনে জলপটি দিচ্ছে। কাশীরামবাবু গভীর আবেগ নিয়ে বলতে লাগলেন, আহা জুড়িয়ে যাচ্ছে রে ফলতা... জুড়িয়ে যাচ্ছে।

তুমি নির্বাক

তোমার হাতের স্মৃতিতে আমার শৈশব
আমার হাতের তালুতে মিশে তোমার বার্ধক্য

তুমি নির্বাক। আমিও নিশ্চুপ।
আইসিউতে খালি পা আমি
    সময়ের সাথে চটি খুলে রাখা বাইরে

   অপেক্ষা আর অসহায়তার গভীর পার্থক্য

ঈশ্বর তুমি বাণী না প্রেম?

ঈশ্বর তুমি বাণী না প্রেম?

  চারিদিকে এত কথা চালাচালি কেন?

ঈশ্বর তুমি শাসক না পালক?

  চারদিকে এত ধারালো ধাতব শব্দ কেন?

ঈশ্বর তুমি এ বাড়ি না ও বাড়ি

  চারদিকে এত বেনামি দলিলদস্তাবেজ কেন?

এমন একটা ভোর আসুক

এমন একটা ভোর আসুক
বাড়ির পিছনের পুকুরটার পাড় ঘেঁষা
     নারকেলগাছের সারির মাথা ছুঁয়ে উঠুক সূর্য

আমি দুটো ফুসফুসের
  সবকটা কোষ ভরানো শ্বাস নিয়ে
  সর্বান্তঃকরণে, নিঃসংশয়ে বলি-
             "সবার মঙ্গল হোক"

নিয়ম নেই, সময় অসময় নেই

অবশেষে ছোটোমাসিও চলে গেলেন। কত বয়েস হয়েছিল, ৫১/৫২ হবে। সারাটা জীবনের কত নিয়ম, কত বিধান, কত উচিৎ অনুচিত। অথচ সেই জীবনের যে পরম পরিণতি মৃত্যু, তার আসার কোনো বিধান নেই, নিয়ম নেই, সময় অসময় নেই।

লোকহিত

আমাদের উচ্চ-মাধ্যমিক সিলেবাসে 'লোকহিত' বলে একটি প্রবন্ধ ছিল। প্রবন্ধটা গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল সেই সময়ে। আজ জট ছাড়িয়ে দেয় অনেক সমস্যার।
প্রবন্ধটা 'সবুজ পত্র' তে ১৩২১ সালে ভাদ্র মাসে ছাপা হয়। পরে 'কালান্তর' প্রবন্ধসংগ্রহে যোগ হয়।

কবাডি...কবাডি

জীবন উপসংহার টানার সুযোগ দেয় কই

কবাডি...কবাডি...কবাডি....

     কবাডি...কবাডি...

                কবাডি....


    ...... ......... .........

অথ কেশবেশ কথা

কেশ শুভ্র হইল বিদ্যালয় জীবনে।
মা কহিল একি বাছা কোথা পাব কনে।।

বলিলাম আশ্বাসিয়া এত কেন ভাবো।
সময় হইলে সে অবশ্য আসিব।।

দিন যায় কেশ পাকে মাতার বাড়ে ভয়।
সন্তান বুঝি বা তবে চিরকুমার রয়।।

কলেজ অতীত হইলে আনিয়া গার্ণিয়ার।
দুশ্চিন্তা হইতে মাতঃ পাইলেন নিস্তার।।

চলিল সে কেশ রাঙানো পর্ব নিরন্তর।
মাতঃ ভাবেন কনে এবে জুটিবে সত্ত্বর।।

কার ঘড়ি ঠিক?

কোন দেশের গল্প বলতে পারবো না। সেসব প্রশ্ন যদি কেউ করে, এমনকি উইকিপিডিয়ার ঠাকুরদার পায়েও যদি মাথা কুটে মরে তো সে তথ্য পাবে বলে মনে হয় না। তাই সেসব কথা ছেড়ে মূল গল্পটায় আসি।

১৫ই অগাস্টের কলকাতার এক টুকরো ছবি

এই ভিডিওটা আগেও দেখেছিলাম। দেখাটা সেদিন মিলে গেল ১৫ই অগাস্টের কলকাতার এক টুকরো ছবিতে। এসপ্ল্যানেডের একটা ক্রসিং দাঁড়িয়ে ছিলাম। মাইকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কোনো অনুষ্ঠানের আওয়াজ ভেসে আসছে। কানে আসছে, কিন্তু মনে ঢুকছে না।
        সেই মাইকেই হঠাৎ জাতীয় সঙ্গীত শুরু হল। বাচ্চারা গাইছে। মনটা আটকে গেল শ্রবণেন্দ্রিয়ের সাথে।

পা ভাঙেনি তো!

রাস্তায় পড়ে থাকা পাথরের টুকরোর সাথে কি শত্রুতা আমার?
  পায়ের নীচে এসে পড়েছিল হয়ত
    (কিম্বা রেখে দিয়েছিল হয়ত কেউ, পরম যত্নে)

এত চীৎকার কেন?

পাথরই তো ছিটকিয়েছে,

    পা ভাঙেনি তো!

এমনই থাক

এক আকাশ নিঃশব্দতা হঠাৎ হাতের মুঠো ছুঁয়ে গেল

মুঠো কুঁড়ির মত ফুটল নিঃশব্দে
         কি আবেশে, বিবশ হয়ে
নীল ওড়না ঢেউয়ের মত স্পর্শ করল
    অপরিচিত আঙিনায় পরিচিত আদর

আকাশ আর খোলা হাত পাশাপাশিই থাক
    মুঠোর বাঁধন অতীত এখন

বাতাস তো অনুভব

বাতাস তো অনুভব
ব্যথাও

বাতাস সজল আজ
ব্যথাও

যে স্বাধীনতা ভাবছি

আমাদের ছোটোবেলায় Turning Point বলে একটা অনুষ্ঠান দূরদর্শনে হত। Yash Paul সৌম্যকান্তি চেহারা, খুব কাছের একজন দরদী শিক্ষকের মতন বিজ্ঞানের নানা অজানা বিষয়ে আলোপাত করতেন।
        চব্বিশে জুলাই মারা গেলেন। বিশেষ কেউ জানতে পারল না। কারণ, ১) তিনি কোন ধর্মগুরু নন, ২) তিনি রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তিত্ব নন এবং ৩) অবশ্যই বিনোদন জগতের জনপ্রিয় কেউ নন।

ক্ষণ

খানিকক্ষণ তোমার জন্য অপেক্ষা করব

তারপর আরো খানিকক্ষণ অপেক্ষা করব

তারপর আরো খানিকক্ষণ

আরো খানিকক্ষণ

   ওরা বলবে - এ তো হল অনেকক্ষণ!

   আমি বলব, ব্যস, আর খানিকক্ষণ

নিজের মৃত্যুকে জাস্টিফাই করতে পারে!

কজন মানুষ আত্মহত্যার প্রাক্কালে এত স্থির, দৃঢ় সঙ্কল্পের সাথে নিজের মৃত্যুকে জাস্টিফাই করতে পারে! যদি নিরপেক্ষ আর প্রাক ধ্যান-ধারণা মুক্ত হয়ে শুনি, তবে শেষের কথাগুলো ভাবিয়ে তুলবার। সত্যিই বেঁচে থাকার অর্থ কি?

সসপ্যান

রীতার মাথাটায় একটা ঝাঁকুনি লাগছিল। মাথার ভিতরটা এখনো ঝিমঝিম করছে। চোখ খুলতে ইচ্ছা করছে না। গা'টা পাক দিচ্ছে। আশেপাশে রিকশা, স্কুটার, সাইকেলের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, বুঝতে পারল। ধীরে ধীরে চোখ মেলতেই বুঝল, সন্ধ্যা হয়ে গেছে। স্ট্রীটলাইটগুলোর আলোগুলো কেমন তেরছা হয়ে তার চোখে লাগছে। তাকে ধরে কে বসে আছে?

গুরু নানক কলকাতায় এসেছিলেন

হঠাৎ জানলাম গুরু নানক কলকাতায় এসেছিলেন। ছিলেন বেশ কিছুদিন। ব্যস্ত বর্ষাস্নাত কলকাতার বুকে একটা শান্ত পূতস্মৃতি সমাহিত স্থানে রইলাম কিছুক্ষণ। একজন পাঞ্জাবী ভদ্রলোক এসে বললেন, উপরে লঙ্গরখানাতে খেয়ে নিন কিছু।

যুগাবতার

পদা আজন্ম শুনিয়া আসিতেছে একটি তৃণও ঈশ্বরের ইচ্ছা ছাড়া নড়ে না। একটি পিপীলিকার চরণে বাঁধা নূপুরের ধ্বনিও ঈশ্বর শুনেন।
        পদা যত বড় হইতে লাগিল তত বিস্মিত হইতে লাগিল। এত নৃশংসতা, এত অমানবিকতা, এত বুভুক্ষা কেন তবে?

দুটো কোর্ট

একটা দাগ

দুটো দাগ

নীল দাগ

typing....

   দুটো কোর্ট।
       ঠকাস। ঠকাস।

   উদ্বিগ্ন চোখ, স্ক্রিণের কোনায়।
      ফুরিয়ে আসা ব্যাটারির লাল নিশান।

typing....

দুঃখ মানে কি?

দুঃখ মানে কি?
   দুঃখ মানে ভালোবাসা

মৃত্যু মানে কি?
     শ্মশান অবধি কাঁধে নিয়ে
           বুকে করে ফিরে আসা

দুঃখ মানে কি?
    দুঃখ মানে ভালোবাসা

পুনরাবৃত্তি না সংশয়?

তবে কি আমি প্রতিষ্ঠান বিরোধী? কিন্তু তা তো মোটেও নয়। জন্মালাম একটা হাসপাতালে, পড়াশোনা করলাম স্কুল-কলেজে, টাকা রাখতে ব্যাঙ্কে গেলাম, চিঠি পোস্ট করতে পোস্ট-অফিসে... এ সবই তো প্রতিষ্ঠান। সমাজের পক্ষে অপরিহার্য। এছাড়াও বিধানসভা লোকসভা থেকে শুরু করে আরো নানান প্রতিষ্ঠানের সাথে জীবনযাত্রা তো প্রতিপদে জড়িয়ে। তবে? ক'দিন ধরে একটাই কথা মাথায় ঘুরছে, তবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অর্থ কি, প্রয়োজন কি?

কে সে?

কোনোদিন শুনিনি কেউ অক্ষরেখা দ্রাঘিমারেখা চাপা পড়ে মারা গেছে। কিম্বা এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে আকাশের সীমারেখা পেরোতে গিয়ে কোনো উড়োজাহাজ সীমারেখা জড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। ওসব মাথার মধ্যেই থাকে। ভূতই বলো আর ভগবানই বলো।

জানতাম তিনি বেড়াতে গেছেন

আমি তো জানতাম তিনি বেড়াতে গেছেন। ফিরে আসবেন কয়েক দিন কি মাসের মধ্যেই। ও বাবা! এ তো দেখতে দেখতে বছর ঘুরল। তাঁর তো দেখাই নেই। কেউ বলে, উনি নাকি জলে ডুবেছেন, কোন সমুদ্দুরে তা তিনি-ই জানবেন। কেউ বলে নাকি জঙ্গলে পথ হারিয়েছেন, কেউ বলে জঙ্গলে না তো, মরুভূমিতে! কেউ বলে হিমালয়ের ওদিকে নাকি কি কলোনি আছে, ওখানে ঘর ভাড়া নিয়েছেন। তা শুনে নিন্দুকের দল বলে, "কই?

ঘটনাটা মর্মান্তিক

ঘটনাটা মর্মান্তিক। তবে এককালে মঠে যাতায়াত আমিও বেশ কিছু বছর করেছি বলে এ দৃশ্য অদেখা নয়। একজন বয়স্ক ভদ্রলোক যিনি বয়সের ভারে প্রায় অথর্ব, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এক একটা ধাপ উঠছেন ঠাকুরের প্রণামী দেবেন বলে, আরেকজন স্থূলকায় যুবক সন্ন্যাসী বসে আছেন চেয়ারে, দেখছেন, তবু উঠবেন না। কারণ "ওরকম নিয়ম নেই"।

বদল

ঠিক কি কারণে যেন এসেছিলাম
                মনে করতে পারছি না
চেনা গলিগুলোর চোখে ভ্রুকুটি
   নাম মনে করতে পারছে না আমার!
মুক্তি? কার মুক্তি?
      স্মৃতির গারদে আটকে
জামিন নেই, জামিন হয় না
  কয়েক লক্ষ কয়েদি সরিয়ে

হ্যাপি ফ্রেনিমিশেপ ডে

বারবার নিজের রক্ত-মাংসের টুকরোর পসার সাজিয়ে বাজারে বসা। বন্ধুত্ব কেনার জন্য। দেখতে হবে - মাংস যেন পচে না যায়, রক্তের রং যেন ফিকে না হয়!

“Indian Pickle"

"মা কেউ কারো ন্যানোতে মুখ দেয়? বাপি যে ভিডিওটা দেখছিল একটা আঙ্কেল তাতে একটা আন্টির...”
        শ্বেতা রান্নাঘরে মাছগুলো ধুচ্ছিল। বাকি কথাটা বান্টি বলার আগেই চীৎকার করে বলল, তুমি এখনও বাড়িতে কেন? সানডেতে তোমার ড্রয়িং ক্লাস থাকে ভুলে গেছো? আর কতবার বলেছি তুমি বাপির ঘর নক করে ঢুকবে? যাও এখনি প্রদ্যুত আঙ্কেলের বাড়ি...

It's only attitude

It's not knowledge or ignorance
It's not experience or inexperience
It's not success or failure
It's not love or no love
It's not even life or death

It's only attitude
That matters

সত্য রইল চুপ করে

মোহ বলল, যাব না।

সত্য রইল চুপ করে।

মোহ বলল, এই দেখো আমার ঐশ্বর্য,
  বলেই সে ছায়ামূর্তি ধরে প্রাসাদ, ধন-দৌলত বানিয়ে ফেলল কয়েক লহমায়।

সত্য রইল চুপ করে।

মোহ চীৎকার করল।
গান গাইল। নাচল।
বিদ্রুপ করল। শ্লেষোক্তি করল।

সত্য রইল চুপ করে।

হয়ত মেঘ বুঝেও বোঝে না

তুমি আমার সামনে দাঁড়াবার পর বুঝলাম
      তুমি এতক্ষণ আমার আশেপাশে ছিলে না

   কিন্তু তা তো নয়?
      তুমিই, তুমি-ই তো ছিলে

বৃষ্টির ভিজে হাওয়া ঘরেও আসে
          হয়ত মেঘ বুঝেও বোঝে না

বৈঠা তোমার হাতে

বৈঠা তোমার হাতে
     তা বলে, জোয়ার-ভাঁটা তো নয়!

আসলে তো প্রেমহীনতা

আসলে তো প্রেমহীনতা

  প্রেম প্রেম কোথা পাই
        প্রেম কোথা পাই

ঘরে - বাইরে আত্মদীনতা

কবি তোমার কল্পনা পরাজিত

আসলে সেদিন বস্ত্র জুগিয়েছিলেন ব্যাসদেব। কৃষ্ণ না। তাও দ্রৌপদীর না, কৃষ্ণের মান রাখতে। নয়ত আজ এত মন্দির, এত মহাপুরুষ, এত নীতি, এত শাস্ত্র, এত বাণী, এত তর্ক-বিতর্কের পরেও এত আতঙ্ক কেন?

কবি তোমার কল্পনা পরাজিত। বাণী থাক। আত্মা তো অমর। সে তো নাকি শুদ্ধ-বুদ্ধ-মুক্ত চিরটাকাল। তবে ওই শুদ্ধ আত্মাগুলোকে পাপী দেহ থেকে মুক্ত করার শীঘ্র প্রয়াস পাক না আদালত! দেরি কেন? আমরা তো সব জেনে গেছি কবি!

মারা গেছে জানেন?

মারা গেছে জানেন?

কে?
নাম দিয়ে কি দরকার

বয়েস? লিঙ্গ?
  ৬৪, মহিলা

রোগ?
 রোগ না। ধর্ষিত প্রতিবাদী যোনিতে চারটে লিঙ্গের সাথে নাকি লোহার রড, ভাঙা বোতল, গাছের গুঁড়ি ঢুকে গিয়েছিল।

ওমা কেন?
  কিছু মদ্যপের লীলাখেলায় প্রতিবাদ করেছিল। একা মেয়েমানুষ, তায় আবার প্রতিবাদ! আজব না?

বারবার আসার অজুহাত

বারবার আসার অজুহাত দিতে পারব না
আমার বর্ষা বিনা নিম্নচাপেও আসে

নিজেকে বাঁচান ঈশ্বর

আপনি আমার একটা একটা ভালোবাসার মুখে নুন দিয়েছেন শান্ত মস্তিষ্কে
    ঈশ্বর

আপনি আমার প্রতিবেশীর আর আমার বাড়ির মাঝে পাঁচিল তুলেছেন
    ঈশ্বর

আপনি জীবাণুর মত সংক্রামিত হয়ে অগুনতি মস্তিষ্কের পুষ্টিরসকে চুষে চুষে খেয়ে চলেছেন
    ঈশ্বর