Skip to main content

রিকশা ও কবিতা

হাতের উপর অনেকগুলো রেখা। সব রেখা নদীর মত সমুদ্রে মেশে না। পরিণতি নেই। তবু আছে। রাত বলে দেখা যাচ্ছে না। অন্ধকারে মিশে আছে। তবু অন্ধকারেই ভাগ্যের হাল ধরে রেখেছে। চালিয়ে নিয়ে
...

ঝাপসা

হাস্পাতালের দোতলায় বসে আছি। ফাঁকা বেঞ্চ। রাত আড়াইটে হবে। আমার পাড়ার একজন বয়স্ক মানুষের জন্য এসেছি। ওনার ছেলে নীচে গেছে ওষুধ কিনতে। একাই বসে মোবাইল ঘাঁটছি, হঠাৎ পাশে এসে মনে হল কেউ দাঁড়াল।
...

কবি

গুরুমশায় সব ছাত্রদের নিয়ে পাহাড়ের একদম মাথায় উঠলেন। পাহাড়টার মাথায় একটা উপত্যকা। খাদের দিকে একটা বড় পাথর। খাদের অনেক নীচে একটা নদী, আঁকাবাঁকা, তার শুরু আর শেষ দেখা যায় না। চারদিকে ঘেরা বড় বড় পাহাড়। তাদের মাথায় বরফ।
...

পাটাতন

চায়ের গরম ভাঁড়টা হাতের চেটোয় ধরে আনতে আনতে হাতটা পুড়ে যাচ্ছিল মনে হচ্ছে। এখনও দু’টো ফ্লোর উঠতে হবে। যে মানুষটা একটা ভাড়া করা বেডে শুয়ে আছে, সে মারা যাবে কোনো একটা অনির্দিষ্ট মুহূর্তে। তার আশেপাশে যে ক’জন মানুষ আছে, কেউ ভালো নেই।
...

সিঁড়ি

সামনে দীর্ঘ সিঁড়িক্রম। আমি একদম প্রথম সিঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে। ভাবছি উঠলেও হয়, আবার না উঠলেও হয়। আনুমানিক পাঁচশোটা সিঁড়ি। উঠলে শুনেছি মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্য। কি করব?
...

পাড়

খুব রাত হয়েছে তা নয়, দু’দিন হল বৃষ্টিটা থামছেই না, তাই এই রকম লাগছে। এই গ্রামটা বর্ধমান শহর থেকে বাসে লাগে দেড়-দু’ঘন্টা, গোলপাতা গ্রাম। এক সময়ে নাকি গোলপাতা নামে কি একটা গাছে ছেয়েছিল
...

মানি অর্ডার

দূরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সন্ধ্যে হয়ে গেল। সমাজে যেরকম পোশাকের মহিলাদের মেয়েছেলে ডাকা হয় দু'বার না ভেবেই, সেরকম একজন, মধ্যবয়স্ক মহিলা মাঠে বসল। পিছনে গঙ্গা।
...

সংসারী ও দেবদাসী

গুরু বসে আছেন চেয়ারে সোজা হয়ে। ভক্ত দাঁড়িয়ে, হাত জোড় করে। শরীরটা মাঝে মাঝেই কেঁপে উঠছে, ঠাণ্ডায়। বাইরে জুলাই মাসের গরম। গুরুগৃহ শীতল। চারটে এসি লাগানো চারদিকে। মনে মনে ভক্ত ভাবছেন
...

চুতিয়া

গামছায় হাত মুছে, চায়ের কাপটা ডিস থেকে তুলে চুমুক দিতে দিতে বলল, সবাই চুতিয়া।
  সিঙ্গাড়ায় পুর পুরতে পুরতে একবার মালিকের দিকে তাকিয়ে কর্মচারী বলল, তা আর বলতে। মনে মনে নিজের 'চুতিয়া' উপাধি পাওয়ার যোগ্য কাজগুলো ভেবে একটু হাসল।
  ঠিক তক্ষুণি একটা টিকটিকি ছাদের থেকে টপাক করে
...

রামদাসী মল্লার

ট্যাক্সিটা দাঁড়ালো। হলুদ ছাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টির ছাঁট স্ট্রিট লাইটের হলুদ আলোয় ঝরণার মত লাগছে। গাড়িটার মেশিন বন্ধ করল ড্রাইভার। পিছনের দিকে ফিরে বলল, বেশি দেরি করবেন না।
বাঁদিকের দরজাটা একটু খুলে গেল। সাদা শাড়ি পরা একজন মহিলা নামল। ছাতাটা এক হাতে শক্ত করে ধরা, সাথে ফুলের তোড়া। আরেক হাতে শাড়িটা উঁচু করে ধরে
...
Subscribe to অনুগল্প