Skip to main content

ঘুড়ি.. ঘুড়ি.. ঘুড়ি

অনেক রাত। নতুন বাড়িতে এমনিই আমার ঘুম আসে না। জানলার কাছে এসে দাঁড়ালাম। ঢিল ছোঁড়া
দূরত্বে পাশের বাড়ির জানলা। বাচ্চাটা এখনও ঘুমায়নি। দুদিন হল এ বাড়ি এসেছি। রোজই দেখি সন্ধ্যে
হলেই বাচ্চাটা ওর ঘরে জানলার উপর বসে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকে। তাকায়, কিন্তু কথা বলে না। ওই
বাড়িটা নাকি এক অধ্যাপকের। স্বামী স্ত্রী দুজনেই অধ্যাপনা করেন।

আমি আর সে

কুকুরটাকে কি জোর লাথি মেরে গেল। কুকুরটা কেঁউ কেঁউ করে কয়েকবার চীৎকার করল, কাঁদল। চুপ
করে গেল একটু পর। ঘুমিয়ে পড়ল।

নৃপেনবাবু

নৃপেনবাবু না পাহাড়ে গেছেন, না জঙ্গলে, না সমুদ্রে। তাও আজীবন বেজায়
খুশীতে কাটিয়ে দিলেন। কিন্তু অঘোরবাবুর মনে দুঃখ আর যায় না। একদিন সারা ভারতের
আনাচে কানাচে ঘোরা অঘোরবাবু তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কোথাও না গিয়ে এত্ত মজাসে থাকেন কি করে?

ছেঁড়া চটি

বিশ্বনাথ বক্সি নাস্তিক মানুষ। কিন্তু হলে কি হবে, ঠিক কালী মন্দিরের সামনে এসেই চটিটা ছিঁড়ে গেল। এখনও অনেকটা রাস্তা। এইবার?

রঙের বালতিটা

রঙের বালতিটা উল্টে গেল। গায়ে ছিটে লাগল কয়েক ফোঁটা। রাস্তায় রঙ লাগল। চাকার পর চাকা গড়িয়ে গেল।
এরপর থেকে সে যতবার রাস্তা দিয়ে যায় ততবার রাস্তায় রঙের ছাপটা দেখে। অল্প অল্প করে মিলিয়ে যাচ্ছে। নোংরা হয়ে যাচ্ছে।
...

মধুপ

বলে ঈশ্বরের উপর নির্ভর করো… একি কথা গোঁসাই? যাকে দেখা যায়, ছোঁয়া যায়, যার কথা শোনা যায় তার উপরেই নির্ভর করা যায় না, এদিকে বলে কি যে দেখাশোনার বাইরে তার উপর নির্ভর করো? একি কোনো কাজের কথা হল গোঁসাই?

    গোঁসাই আজ ভীষণ সেজেছে। তার গলায় মালা। পরনে কি চমৎকার নীল কাপড়! মাথায় একটা শিখীপাখা… কি সাজ গো গোঁসাই এ?

শুনতে পাচ্ছ?

আড়াইটে বাজতে তিন মিনিট বাকি। এত রাতে টয়লেটে যেতে বিরক্তই লাগে। কিন্তু উপায় কি?

উঠল, টয়লেটের দরজায় ঠেলা দিল। দরজা বন্ধ। ভিতর থেকে।

ঝড়ের পরে ঘুম পায়

দুটো দেওয়ালের খাঁজে ঝুলটা অনেকদিন ধরেই আছে। মম তাকায়। সরাতে চায় না।
ছোটো একটা মাকড়সা এক কোণে বসে থাকে। মমকে দেখে। মমকে বলে,
আমি তো পাঁচিলের এক কোণে আছি দেখো। তোমাদের এতবড় বাগান, আমার কি একটুও জায়গা হবে না?

চাঁদের আলো আর গীতবিতান


ঝুলবারান্দায় বসে বসেই বেলা এগারোটা বেজে গেল। সকাল থেকে খাওয়া বলতে এক কাপ করে চা।

Subscribe to অনুগল্প