দিয়া
তুমি চোরাবালি না ভুলভুলাইয়া
কি সুখ বলতে পারো?
তোমার শিখায় জ্বলে পুড়ে
কাজল হয়ে
তোমার চোখের কিনারাতেই
ভেজা ভেজা মন
ভেজা ভেজা মন
শোন বারণ
ভুলে থাক সব কঠিন পণ
ভেজা ভেজা মন
শোন শাসন
মুছে ফেল চোখ, কাট বাঁধন
আবছা
কয়েক পশলা বৃষ্টি
মন খারাপের ঝিরঝিরে কথা
হঠাৎ আসা আবছা আঁধারে
ফেলে আসা দিনের ছেঁড়া পাতা
পর্দা
ঘরের অন্ধকার
মেঘের অন্ধকারের চেয়ে
ছিল বেশি
বন্ধ জানলার পর্দাটা
পাখার হাওয়ায় উড়ে বলছিল -
'জানলাটা খোলো
আমি খোলা হাওয়ায় ভাসি'
মুক্তির ভয়
তালাগুলো ভেঙে গেছে
চাবিগুলো গেছে রয়ে
নতুন তালা ফিরছি খুঁজে
বাজারে হন্যে হয়ে
স্মৃতি
স্মৃতির গর্তে গর্তে হাজার হাজার লাল কাঁকড়া
অলস সময়ের তীরে তীরে
আমার পায়ের শব্দে ঢুকে পড়ে
আবার বেরিয়ে আসে অলক্ষ্যে
আমার আড়চোখে চোখ রাখে
জীবন
ভেজা পাথর
শ্যাওলা জমা পাথর
দাঁড়াতে গেলেই, হুমড়ি খেয়ে
পিছলে ফেলা পাথর
তার উপরেই দাঁড়াতে চাইছি
গোছাতে চাইছি কবে থেকে-
এরই নাম জীবন
অমিল
তোমার সাথে আমার
না মেলে পূবে, না পশ্চিমে
না মেলে ডাঁয়ে, না বাঁয়ে
তবু কিসের এত টান ?
যে এক চাহনিতেই, কলিজায়
চোরাস্রোতে আসে বান?!
আমার অভিমানের বদলে
না
বুঝত না?
বলিনি তো!
মানত না।
ডাকত না?
বলিনি তো!
চাইত না।