মধুপ
বলে ঈশ্বরের উপর নির্ভর করো… একি কথা গোঁসাই? যাকে দেখা যায়, ছোঁয়া যায়, যার কথা শোনা যায় তার উপরেই নির্ভর করা যায় না, এদিকে বলে কি যে দেখাশোনার বাইরে তার উপর নির্ভর করো? একি কোনো কাজের কথা হল গোঁসাই?
গোঁসাই আজ ভীষণ সেজেছে। তার গলায় মালা। পরনে কি চমৎকার নীল কাপড়! মাথায় একটা শিখীপাখা… কি সাজ গো গোঁসাই এ?
তুফান পেলে বাঁচি
গোঁসাই, যাকেই বসাই সেই খামচি দিয়ে যায়।
সুহৃদ
একজন বলল, দরদী পাই কই?
গোঁসাই বলল, দরদ দিয়ে তাকা, দরদ দিয়ে শোন, দরদ দিয়ে ছোঁ। দেখ দরদের ঝুনঝুনি বাজছে জগতে।
সে বলল, পেলাম তো শুধু আঘাত গোঁসাই…. দরদ কই?
...
অনপেক্ষ
দোলের উৎসব চলছে। মন্দিরে আজ প্রসাদ বিতরণ হবে। গোঁসাইও এসেছে মন্দিরে। মন্দির প্রাঙ্গণ লোকে লোকারণ্য। গোঁসাইয়ের চো পড়ল জবার উপর। ভিড়ের বাইরে কুসুমকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে।
চাঁদের উদয়
গোঁসাই বলল, শরীরের পিছনে মন হাঁটে, না মনের পিছনে শরীর?
রতন বিড়ি ফেলে বলল, ওই হল। দুই আছে। কখনও এ আগে, কখনও সে।
গোঁসাই বলল, আজ থাকবি?
রতন বলল, টোটো দাঁড় করিয়ে রেখে এসেছি। এই যে কমলা। প্রণাম কর।
রাখী
"প্রভু, আজি তোমার দক্ষিণ হাত রেখো না ঢাকি।
এসেছি তোমারে, হে নাথ, পরাতে রাখী॥
যদি বাঁধি তোমার হাতে পড়ব বাঁধা সবার সাথে,
যেখানে যে আছে কেহই রবে না বাকি॥"
আরশিনগর
গোঁসাই বসে দীঘির ধারে। গুনগুন করে গান ভেসে আসছে, “গেরাম বেড়ে অগাধ পানি, নাই কিনারা নাই তরণী পারের... বাঞ্ছা করি দেখব তারে কেমনে সেথা যাই রে…”
গোঁসাই, বসি একটু?
গোঁসাই চোখের ইশারায় বলল, বসো।
দেরি হলে বর্ষা পাবে না গাছগুলো
মন যদি নদী হয়, তবে সে নদীর জোয়ার ভাটার সাক্ষী কে গোঁসাই?
গোঁসাই গোলাপ গাছের গোড়ায় আরেকটু মাটি চেপে বলল, চেতনা।
গোঁসাই উঠে দাঁড়ালো। কোমরটা ছাড়িয়ে নিয়ে বলল, আমার সঙ্গে এদিকে এসো দেখি একবার।
সাড়া দাও
গোঁসাই বাগানে বসে। ফুলের বাগান। একতারায় সুর ওঠে। গোঁসাই ডোবে, মাঝে মাঝে চোখ খুলে তাকায়। চারদিকে দেখে। আবার ডোবে।
বোধন
...