দশকৌণিক
সানাই বাজছে বেহাগে। লগ্ন সন্ধ্যায়। এই তো লগ্ন। এই তো সন্ধ্যা। বেহাগের সঙ্গে শুরু হল মন্ত্র উচ্চারণ।
প্রশ্ন
"মাগো, রামপ্রসাদের বেড়া বাঁধতে আসার সময় পেলি, আর আমার মেয়েটাকে যখন ওরা মেরে ঝুলিয়ে দিল, একটু সময় করে এসে ঠেকাতে পারলি না মা?"
শিশির আর শূন্যতা
সব জানলাগুলো বন্ধ। বুকে জমা কফের আওয়াজ ঘড়ঘড় করে যাচ্ছে। আগের থেকে ভালো।
আসবেন, কাজ আছে
অনবরত কড়া নাড়ল, ফিরে যাবে ভাবল। ভিতরে কেউ ছিল? নাকি ছিল না। কাঁচে নাক ঠেকালো। শ্বাসের বাতাস কাঁচে ঘুরে, সব ঝাপসা করে বলল, নেই।
দূরে কুকুর ডাকছে। জঙ্গলের ভিতর থেকে। এত গভীর জঙ্গলে একা একা দাঁড়িয়ে কেন? রাস্তায় পায়ের ছাপ নেই। চলাফেরার নিশানা নেই। হাতলে ধুলো জমে আছে। তবু মনে হচ্ছে কেউ আছে।
আধখানা চাঁদ
ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছে সব
জন্মদিন কবে?
চাঁদ আর প্লেন
চাঁদের পাশ দিয়ে প্লেনটা গেল। বাচ্চাটা দাদুকে জিজ্ঞাসা করল, দাঁড়ালো না যে, দিদু উঠবে না? বেড়াতে যাবে না আজ?
খেলার মাঠ
সাইকেলে ভর দিয়ে হাঁটতেন। সাইকেল চালাতেনও।
রাস্তার পাশে মাঠ। কিছু বাচ্চা ফুটবল খেলছিল। বল এসে লাগল সাইকেলে। টাল সামলাতে না পেরে পড়লেন রাস্তায়। কনুই ছিলে রক্ত বেরোলো। কোমরে চোট পেলেন। ছেলেগুলো ভাবল উঠে যখন বসেছেন তখন নিশ্চয়ই দাঁড়িয়েও পড়বেন। উঠে সাইকেল চালিয়ে চলে যাবেন। তাই তারা হইহই করে "সরি দাদু… সরি সরি" বলতে বলতে মাঠে নেমে গেল।
কি যেন নেই
বেড়াতে যাওয়া
রাণাঘাট থেকে শিয়ালদা, আর শিয়ালদা থেকে রাণাঘাট। চল্লিশটা বছর কেটে গ