আসলে কোনো কিছুরই কোনো নিয়ম নেই
আসলে কোনো কিছুরই কোনো নিয়ম নেই
এটা বুঝতে যতটা ভালোবাসা থাকা দরকার
তা কই?
তবু সব কিছুরই একটা সময় আছে
যে ভালোবাসায় সে নিরুদ্বিগ্ন অপেক্ষা
সে কই?
মানুষ না হই, আর্য তো বটে
আমার ছাত্র, ব্যাঙ্কে চাকরি পেল। ভারতের প্রথম সারির রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। পোস্ট - PO. এখন দক্ষিণ ভারতের একটা বিখ্যাত শহরে প্রশিক্ষণরত। ওর মুখে শুনলাম, ওদের মধ্যে একজন বিকলাঙ্গ বন্ধু আছে, পোলিও আক্রান্ত হয়েছিল যে ছোটোবেলায়। সেই বিকলাঙ্গ ছেলেটির রুমমেট তার সাথে এক ঘরে থাকতে আপত্তি জানিয়ে ঘর ছাড়ল, কারণ?
এক ছটাক ভালোবাসা পেয়েছ বলে
রোদ্দুরের সাথে আড়ি কোরো না
শ্যাওলা ধরা পথে
ভালোবাসাও আত্মঘাতী হয়
আরেকটু
যদি জানলাটা আরেকটু খোলা থাকত
বিস্তীর্ণ মাঠ, সবুজ পুকুর, নীল আকাশ
জেগে থাকত আরো খানিকক্ষণ
ভেজা মাটি, গাছ লাফানো জলবিন্দু, ব্যাঙের উল্লাস
হয়ত আরো বেশি প্রয়োজন ছিল
মসৃণ দেওয়াল বেয়ে ওঠানামা
সহজ হত
তারপর
যতটা আকুতি, আর যতটা সংযম নিয়ে ডাকত, "কেউ আছেন নাকি... ভিক্ষা পাই গো"... ততটা ভিক্ষা কোনোদিন পেত না।
অনেকের মত আমিও দৌড়েছিলাম
অনেকের মত আমিও দৌড়েছিলাম। একাই দৌড় লাগিয়েছিলাম। সবার আগে শেষ প্রান্ত পৌঁছানোর নেশা আমাকেও পেয়ে বসেছিল। ছুটতে ছুটতে আমিও সমুদ্রের তীরে এসে পৌঁছালাম। বালিতে অনেক পায়ের ছাপ, যারা আমার আগে এসেছিল, নানা যুগে, নানা কালে। অনেকের মত আমিও বুঝলাম, আর যাওয়ার নেই কোথাও। কেউ কেউ সব যুগের কিছু নির্বোধের মত সাঁতরাতে লাগল, কেউ ওপারে নিয়ে যাওয়ার নাবিকের অপেক্ষায় রইল। আমি ফেরার পথ ধরলাম, অনেকের মত। আমার আগে অনেক
চিরদিন মাধব মন্দিরে মোর
চৌকির উপর দুটো পাতলা কাঁথা দিয়ে বানানো বিছানায় শুয়ে শুয়েই সুবাস বুঝতে পারল বৃষ্টিটা ধরেনি। গতকালও সারাদিন হয়েছে। এখন আন্দাজ ভোর সাড়ে পাঁচটা হবে। সুবাস উঠে বসল। দুটো শীর্ণ হাত জড়ো করে সামনের দেওয়ালে টাঙানো রাধাকৃষ্ণের ছবিতে প্রণাম করল। ফর্সা হাতদুটোতে নীলচে শিরার রেখা। মন্দিরের পিছনেই নদী। চূর্ণী নদী। সুবাস স্নান সেরে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই ফুল তুলত
বন্দর
শেষ জাহাজ কবে ছেড়ে গিয়েছে মনে নেই
এমন কোনো এক পরিত্যক্ত শ্রীহীন বন্দরে
সেদিন পূর্ণিমার আলো এসে পড়েছিল
নাম না জানা কোনো এক পাখি ডেকে যাচ্ছিল অবিরাম, প্রত্যাশাহীন
মেঘবন্দী
কর্মনাশা!
সোঁদা গন্ধে পিছলে পড়েছ কখনও?
আচমকা দেখলে, জানলায় বাইরে টাঙানো কালো স্লেট আকাশ?
তোমার ঘরে ঘুরে বেড়াচ্ছে তোমারই মত আরেকটা মেঘলা তুমি?
তাকে সামাল দিতে হাতড়াচ্ছ গীতবিতান
কবিতার ফেরিওয়ালাকে বলছ,
“এই ঝাঁকা নামিয়ে বসো দেখি”
তোমার ভেজা চোখে কোনো বিগত দিনের ডুব সাঁতার