দাঁড়াও
...
ইচ্ছা ছিল
আকাশ থাকবে নীল।
তাতে থাকবে চাঁদ, তারা আর রামধনু।
হল না।
আকাশ ভরল মেঘে।
ভাঙল বাড়ি ঝড়ে।
...
জানা
তবু বলিনি। তুমি বলবে বলে।
তুমি বললে না। শুধু কাঁদলে।
...
শেষ কথা
কুমার বললেন,"অস্ত্র।"
পিতা বললেন,"বেশ।"
শুরু হল কুমারের অস্ত্রশিক্ষা।
কিন্তু দিন যত এগোলো, কুমার তত পিছলেন।
খবর গেল পিতার কাছে।
...
ঘুর্ণাবর্ত
...
শুভ বুদ্ধি
মেয়েরা আমাদের অতীত সমাজে যে খুব সন্মানের সাথে বাস করেছেন তা বলতে পারি না। সতীদাহপ্রথা, পণপ্রথা, বাল্যবিবাহ...উদাহরণ বেড়েই চলবে। তারপর অনেক সমাজসংস্কারক এলেন।আমরা ধীরে ধীরে সভ্য হতে শুরু করেছিলাম। সত্যিই কি? বিশ্বাস করতে অসুবিধা হচ্ছে।আদিম রিপুর বর্বরতা কে সংযত করলে যে পৌরুষ বলে কিছু থাকবে না! তাই চলুক! আমরা রাস্তায় প্রতিবাদ করি,চেঁচাই,কাঁদি,তাতে কার কি!
উত্তরণ
সারাদিন তুমি মৃত্যুর আসার পথ বন্ধ করে চলেছ।
এবার থাম, তুমি ক্লান্ত।
সে আসবেই।
বরং জীবনটাকে দেখ, ভালবাসো।
তুমি বলবে, জীবনকেই তো আমি ভালবাসি, তাই তো মৃত্যুকে রাখি ঠেকিয়ে।
আমি বলব, না। তুমি জীবনকে ভালবাসো নি কোনদিন।
লোভ করেছ।
বেঁচে থাকার আনন্দকে সহজ ভাবে নাও নি।
কাড়তে চেয়েছ,তোমার বরাদ্দর চেয়ে বেশি।
তাই এত ভয় তোমার। মৃত্যু কে দেখ বিভীষিকা!
শ্রেষ্ঠ জ্ঞান
সেদিন ভোর থেকেই রাজধানীতে লোক জমা হতে শুরু হয়েছে। চারিদিকে চাপা উদ্বেগ, কি হবে! কি হবে?
বাঁশি
ঈশ্বরের সৃষ্টির শেষ দিন। সব ঠিকই চলছিল। হঠাৎ কি করে প্রভুর অন্যমনস্কতার সুযোগে সৃষ্টি হল এক পাগলের।
আলো ও ছায়া
অনেক দিন আগেকার কথা। একজন থাকত আলোর দেশে। আরেকজন থাকত ছায়ার দেশে। কি ভাগ্যচক্রে দুজনের হল আলো-ছায়া পথে পরিচয়। অনেক কথা হল। বেলা গেল বয়ে। দেশে ফিরে ছায়ার দেশের মানুষটা একটা প্রদীপ জ্বালল তার দেশের প্রান্তে, নাম রাখল মন্দির। নিন্দুকেরা বলল, আলোর পুজা! ভন্ডামী!