Skip to main content

স্বার্থপর

যে গাছটা জল না পেয়ে শুকিয়ে গেল
সে গাছটার তলায় রোজ দাঁড়াই
আজও দাঁড়িয়ে
শিকড়ের কথা ভুলে
গাছটার ডাল ফুল ফল পাতা খুঁজছি
মনে হয় ওরা আসছে

অশ্রুত শিকড়ের দীর্ঘশ্বাস
আমায় ছোঁয় না।

আগুন


বুকের ভিতর যে আগুন
          তা নিভতে দিও না
দেখেছি যে ভিতরে পোড়ে
         সে বাইরে পোড়ে না

তোমায় আমি চেয়েছিলাম

তোমায় আমি চেয়েছিলাম।

এই কথাটা ভুলতে গিয়ে-
কত কি না করলাম!
চেষ্টা করতে করতে
করতে করতে
নিজেকে ভুলে গেলাম
তবু কথাটা ভুলতে পারলাম না-

তোমায় আমি চেয়েছিলাম।

ধৈর্য্য

সব ছড়িয়ে যাক
   আবার সাজিয়ে যাবে
         যেখানের জিনিস
              ফের ফিরে পাবে সেখানেই

সকাল


---
ছেলেটার অনেক ক্ষোভ। প্রথম ক্ষোভ নিজের নাম নিয়ে। শিবদাস ওরফে শিবু। এই নাম একজন ২০১৪ তে কলেজের থার্ড ইয়ারে পড়া ছেলের হয়! শিবু নামটা তাও চলে। তাই স্কুলে, টিউশানে, ফেসবুকে, কলেজে তাকে শিবু বলেই সবাই চেনে, দু'একজন খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছাড়া। 

একাকার

যেদিন ঘরে আসলে-
আমার মনে ছিল কিছুটা শঙ্কা
ভেবেছিলাম সব দরজায় দেবে খিল
বলবে, "আজ থেকে এ ঘর শুধু আমাদের"

যেদিন ঘরে এলে
সেদিন শুধু দক্ষিণের দরজা ছিল খোলা
তুমি এসে পূব পশ্চিম উত্তরের দরজাও দিলে খুলে
বললে, "এ ঘর সবার আজ থেকে"

অবাক হয়ে বললাম, "তুমি?"
বললে, "আমি থাকব সবার মাঝে,
তোমায় ঘিরে, তোমায় আড়াল না করে"

মোহ

প্রভু বসি রাজসিংহাসনে
ভক্ত প্রবেশিল
হস্তে তার সহস্র ছিন্ন মস্তক, রুধি সিক্ত অসি
দিল প্রভু পায়ে

প্রভু শিহরিয়া উঠি জিজ্ঞাসিলেন, কি এ?!

ইচ্ছা

ইচ্ছাই শিব, ইচ্ছাই অশিব। যখন ভাবি তোমায় ভালোবাসব, একটা ফুল উপহার দেব, কি একটা কবিতা শোনাব- কোনো যুক্তি সাজাতে হয় না মাথার মধ্যে। খুব সহজেই আমার সারা সত্তা সাড়া দেয়, নিজের সাথে নিজের কোনো বিরোধ হয় না, হাল্কা লাগে।

বন্ধুর জন্য


আমি তোমার জন্য একটা নদী বানাবো
ছোট্ট নদী
যাতে হাঁটুজলের বেশি না থাকে
সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে
আমার পাশে বোসো
পা ডুবিয়ো জলে
পা জলের তলার নুড়িগুলো ছুঁয়ে খেলবে
ধরো আকাশে চাঁদ উঠবে
গোটা না, একফালি
কয়েকটা তারা বেছে নেব, বড় আকাশ থেকে
আমাদের ছোটো আকাশটাতে
কালপুরুষ, সপ্তর্ষিমন্ডল আর শুকতারা
ধ্রুবতারা?

নির্ভার


শরীরটা যখন অসুস্থ থাকে, যখন বিছানা ছেড়ে দু-পা উঠে খাবার জলটা গড়িয়ে খেতে মাথা টলে, হাঁফ ধরে যায় - তখন বোঝা যায়, যে স্বাস্থ্যকে অনায়াসে লাভ করেছি তার সত্যিকারের মূল্য কতখানি। এত দৌড়-ঝাঁপ, বকবকানি, কীসের জোরে।অথচ সেই স্বাস্থ্যকে কত তুচ্ছ করে দেখি যখন ভাল থাকি তখন, মনেই থাকে না!

Subscribe to