থাকবো না
অলকা পারে না।
এখানে মনের কথা বুদ্ধি দিয়ে বলতে হয়,
দাও
তার চেয়ে থাক না কিছু গাছে।
কিছু তোলো সাজিতে।
তোমারই মত
মন খারাপ আমারও করে
তোমারই মত।
মাঝে মাঝে সব ফেলে দিই ছুট-
আমিও ভাবি
তোমারই মত।
মাঝে মাঝে হাতের ঘামে
হাত পিছলে থুবড়ে পড়ি
তোমারই মত।
বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজেছি আমিও সেদিন
তোমারই মত।
সব ছেড়ে দিয়ে বাঁচতেই চাই
বেঁচে থাকাটাই সুখ বুঝি আজ
তোমারই মত।
তখনই
এবার আসলে
এবার আসলে
পায়ের নূপুর খুলে এসো
তুমি চলে গেলেও
ওদের আওয়াজ যেতে চায় না
এবার আসলে
গায়ে সুগন্ধী দিয়ে এসো না
তুমি ফিরে গেলেও
ওরা আমার চারপাশ ঘিরে ফেরে
এবার আসলে
কোনো কথা বোলো না
তুমি ফিরে গেলেও
কথাগুলো সব এ পাশ ও পাশ ভাসে
ঘরে-বাইরে
বাড়ির যেমন একটা বাইরের ঘর আর ভিতরের ঘর আছে, মনেরও সেরকম করে নিলে ভালো। কাকে বাইরের ঘরের থেকেই বিদায় করব আর কাকে ভিতরের ঘরে ডাকব - এ বিচারটা সহজ হয় তাহলে। না হলে ভুল লোককে ভিতরের ঘরে আনার মাশুল দিতে দিতে বেলা বয়ে যায়।
ভয় হতে তব অভয় মাঝে
আমি
-------
কে যেন
কে যেন বলে গেল-
ভাঙা-তালি জোড়া দিতে দিতে
কত বেলা হল খেয়াল আছে?
মুখ তুলে চাইলাম
কেউ কোত্থাও নেই
আবার শুনলাম-
বাইরে যা পাবে,
তা খণ্ডিত, ক্ষুদ্র, অসম্পূর্ণ।
খোঁজ ভিতরে,
পাবে তাঁকে
যিনি অখণ্ড, মহৎ, পূর্ণ।
অবশ হল শরীর মন
ভাঙা টুকরোগুলো পাড়ে রেখে
নদীতে ডুব দিলাম।
ইচ্ছা
অকারণে সে লজ্জা পাচ্ছে আজ থেকে থেকেই
ফর্সা কানদুটো লাল টকটকে হয়ে উঠছে গরম হয়ে
রান্না করতে করতে ঠান্ডা জল কানে ঠেকাচ্ছে,
ঠোঁটের কোণে হাসি