Skip to main content

সন্ধ্যের জলসা

ছ'টা বেজে গেছে। শ্যামনগরের জগোদ্ধারণ ক্লাবের অনুষ্ঠান আজ। রবীন্দ্রসন্ধ্যা। মে মাসের দশ তারিখ। কিছুক্ষণ আগে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। প্যাচপেচে গরম। ক্লাবের সেক্রেটারি পানুহরিবাবুর সিল্কের পাঞ্জাবী ভিজে চপচপ। বয়েস ষাট ছুঁইছুঁই। গত উনিশ বছর ধরে উনিই সেক্রেটারি আছেন।

প্রতিদিন

প্রতিদিন সকালের গালে
   একটা সুরের টিপ এঁকো
              কাজলের মত
যেন সারাটা দিন
কোনো ভ্রুকুটির নজর না লাগে

তোমার চোখের দিব্যি

দেখেছি চামচের জল অল্পেতেই কাঁপে, পড়ো পড়ো হয়।
ঘড়ার জল কাঁপাতে আরেকটু জোর লাগে,
ছলকে ওঠাতে তারও চেয়ে বেশি জোর লাগে।
দীঘির জল?
তাতে কাঁপন ধরাতে লাগে মাতাল বাতাস
আর ছলকে ওঠাতে লাগে একটা পুরোদস্তুর ভূমিকম্প।

কাকে বলব?

কোনোদিন কাউকে কখনও
রাস্তার এদিকে হাঁটতে বলিনি, আমার জন্য
না তো রাস্তার ওই দিকে হেঁটেছি,
                        কারোর জন্য

চোখের হাসি পড়তে পারো?

চোখের হাসি পড়তে পারো?
বোঝো, মনের দোল খাওয়া?
স্বচ্ছ কাঁচে সোজাসুজি সব
আমার চাওয়া শুধুই চাওয়া

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

জানতাম চুরি করবেই তুমি

জানতাম চুরি করবেই তুমি
    তবু দরজায় খিল দিইনি
সোজা রাস্তা থেকে বাঁকা রাস্তাই
                 যে পছন্দ তোমার

সেকি বুঝেও বুঝিনি!

আচ্ছন্ন আকাশ

ভোর নয়, ভোর নয়
সন্ধ্যে
স্থির জলে অস্তরবির সাক্ষর
কিছুটা দ্বিধান্বিত
আকাশ ঢাকছে ধোঁয়ায়
আচ্ছন্ন আকাশ
পাখিগুলো অন্যপথে ফিরে গেছে

সকালের মুখ চেয়ে তবু কোনো প্রাণ
এরই মধ্যে সবুজ স্বপ্ন বুনবে
আকাশে হবে স্বচ্ছ
ভোর হবে, ভোর হবে
সন্ধ্যে প্রসন্ন আকাশে নামবে
পথ না পাল্টে
পাখি এ পথেই নীড়ে ফিরবে


(ছবিঃ দেবাশীষ)

সীমানা ছাড়িয়ে

এ কোন দরজা খুলে গেল!
সারাটা আকাশ তীর্থরেণু মেখে
            আমার সামনে দাঁড়াল
মেঘের আঁচল ঢাকা কার কোমল স্নেহ
আমার বুকে এসে আলতো ছুঁয়ে
                     চুমু দিয়ে গেল
আমি কার গোপন চরণধ্বনিতে বিহ্বল

চাইছিলাম আলো

চাইছিলাম আলো জ্বালব ঘরে, এক কোণে। এদিক ওদিক, এদেশ ওদেশ আগুন খুঁজে বেড়ালাম, চাই যে একটু আলো! কোথায় মিলবে ত্রিভুবনে?

সময়

যা মুঠোর মধ্যে ছিল
  আশা ছিল তাতে থাকবে
     আমার হাতের ছাপ

নেই

কিছুটা মিলিয়েছে সময়
কিছুটা মিলিয়েছে
      নতুন হাতের ছাপ

Subscribe to