জীবনের কোনো নির্দিষ্ট ভিউপয়েন্ট হয় না। যখন যেখানে দাঁড়াতে হবে। দাঁড়াতেই হবে। সেখান থেকেই যতটুকু দেখা যায়, তখনের মত ততটুকুই। “দাদা আপনার ভিউপয়েন্ট থেকে কী দেখা যায়?” প্রশ্ন হতে পারে। উত্তরও হতে পারে। বুঝতে পারে। আবার নাও বুঝতে পারে। শেষেরটার সম্ভাবনাই বেশি। দুজন মানুষ আজীবন চেষ্টা করে যায় পাশাপাশি থেকে একই ভিউপয়েন্ট থেকে জীবনটাকে দেখার। হয় না। একে অন্যের ছবি নকল করে। নকলকে বিশ্বাস করতে করতে নিজের ছবিটা ভুলে যায়। নিজের ভিউপয়েন্টকে মনে হয় বিদেশ। ভিতরে বাইরে পরবাসী হয়ে বিবাগী হয়। সংসারে নিজের ভিউপয়েন্ট হারানো মানুষের সংখ্যা বড্ড বেশি বাড়ছে। সার দিয়ে হাঁটছে। যত বেশি ভয় পাচ্ছে, তার চাইতে বেশি ভয় দেখাচ্ছে। কাউকে শান্তিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেই বলছে, দলে এসো। নইলে গ্রেপ্তার করব। এরা একটা নির্দিষ্ট ভিউপয়েন্টে সবাইকে দাঁড় করাতে চাইছে। যেটার সামনে কোনো ভিউ নেই। আছে কিছু তোতাপাখি। দেখার চোখ নষ্ট করে, শোনার অভ্যাস করাচ্ছে। জানে শুনতে শুনতে মানুষের ঘুম আসে। ঘুমের কোনো ভিউপয়েন্ট হয় না।
sumanasya
19 May 2025