বোধন
শুনিলাম কোনো বিজ্ঞানী
স্থির সিদ্ধান্তে আসিয়াছেন
সর্ব সমক্ষে ঘোষিয়াছেন-
ঈশ্বর নাই
আম জনতা দলে দলে
তাহারি পদতলে আসিতেছে
বলিতেছে গদগদ ভাষে-
হেন সত্য উদঘাটিলে
তবে তুমি তাই!
আঁচড়
আমার সারা বুক ক্ষত-বিক্ষত
তোমার চোখের আঁচড়ে
তবু আসি কেন জানো?
মরণ যে কাছ থেকে এত সুন্দর,
তোমায় না দেখলে জানতাম কি করে?
স্পর্ধা
দুটো শরীর ভীষণ কাছে এলো
মনকে ঠেলে সরালো।
অন্ধ ওরা দু'জনেই এখন
একে অপরকে হাতড়ে খুঁজছে-
খুঁড়ছে সন্দেহে
ক্ষত-বিক্ষত শরীর দুটোয়
শুধুই স্পর্ধা আজ।
কি হবে
এত ঔদ্ধত্য তোমার!
কি হবে-
যদি শেষরক্ষা না হয়!
চোখের জল না বুকের আগুন
কার কথা শুনবে সেদিন?
নাকি,
দীর্ঘশ্বাসকে দীর্ঘ করবে আরো-
যতদূর যায় ভাঙা অহঙ্কারের ছায়া?
তখনই
ছদ্মবেশ
কিছু সরল চোখ মিথ্যা বলতে পারে
কিছু সরল হাসি ছুরি লুকাতে পারে
কিছু মিথ্যা সত্য বলতে পারে
কিছু হাসি কান্না আনতে পারে
উপহার
আমার জন্য কি আনবে?
পারো যদি এনো-
এক মুঠো সময়।
সে হোক না গোধূলির মত রাঙা
কিম্বা নদীর কলকল শব্দের মত বিহ্বল
ভোরের মত স্নিগ্ধ
নতুবা তোমার চোখের মত চঞ্চল।
ঈশ্বরকে বলব
আমি ঈশ্বরকে বলব
আমায় স্বর্গে না রাখতে
বলব, তোমার চোখের পাতাগুলোর
একটা পাতায় রাখতে
এগিয়ে
জিভকে একটু বিরাম দাও
হৃদয়েরও কিছু বলার থাকতে পারে।
সব জানাশোনা ছেড়ে এগিয়ে যাও
অজানাতেও কেউ আপন থাকতে পারে।
লেখিকা সুচিত্রা ভট্টাচার্যের আকস্মিক মৃত্যুতে
কিছু মৃত্যু মেনে নিতে বড় কষ্ট হয়
যখন চারিদিকে আজ ভীষণ ভীষণ
দুঃসময়
(লেখিকা সুচিত্রা ভট্টাচার্যের আকস্মিক মৃত্যুতে)