Skip to main content

প্রতিচ্ছবি


যা দেখলাম, তা সহজ
যা হল অনুভব, তা সহজ
যা বললাম, তা সহজ।
শুনল না কেউ।
বোঝাতে গেলাম
হল কঠিন।
সবাই বলল, বাহ্।

কুহক


অনুতাপ তোমার দরজায় আনে
অহংকার দরজার সামনে এসেও
                        ফেলে গুলিয়ে
কুতর্ক পথের ধুলো উড়িয়ে করে অন্ধকার
দু'চোখ ভরা মোহাঞ্জনের 

আশ্বাস


প্রতিটা গাছ
সারাটা রাত
স্থির আশ্বাস
দাঁড়িয়ে একা

হবেই ভোর
কাটবে ঘোর
তরুণ অরুণ
দেবে দেখা

শিক্ষা


অধ্যাপক মহাশয়
তাঁর সম্ভাবনাময় ছাত্র-ছাত্রীদের
যখন গাছটার বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব বোঝাচ্ছিলেন

অশিক্ষিত মালীটা
দাঁড়িয়ে ছিল একটু তফাতে
ওনারা চলে গেলেই
গাছটায় জল দেবে বলে

কে?


জল পড়ল
টুপ

মন বলল
চুপ

জল বলল
কিসের ঢেউ?

মন বলল
এল কি কেউ?

একটু পরেই


হাতের কাজটা সামলে নিই
একটু পরেই আসছি

কতদিন ধরে শুনছি।

হাতের কাজটা সামলে নিই
একটু পরেই যাচ্ছি

কতদিন ধরে বলছি।

ফেরা


ঘরের আলো নিভিয়ে
দরজায় তালা লাগিয়ে
বড় রাস্তায় এসে দাঁড়ালাম

যেতে যেতে মন ইতঃস্তত
আলোটা জ্বেলে আসাই কি ছিল ভাল
ফেরার পর কেমন হবে -
যদি ঘর-বার দুই-ই থাকে অন্ধকার?

আজ


সেদিন কেউ কেউ কাছে ডেকেছিল,
বেরোনোর দরজা পাইনি।

সেদিন থেকে হাতড়ে হাতড়ে পেলাম
একটা ছোট্ট সুড়ঙ্গ আজ
নিজেকে হেঁচড়ে হেঁচড়ে বাইরে আনলাম

কোথায় গেল ওরা,
যারা ডেকেছিল?

হাত


হাতটা ছেড়ে দাও,
হয়তো হাতটা ধরতে গিয়ে
অজান্তেই বেঁধে ফেলেছো,
                হাতের চাপে।

এবার ছেড়ে দাও,
হাতের স্পর্শের সুখ
হাতের মোচড় হওয়ার 
             দুঃস্বপ্নের আগে।

তখন


তোমার আসার আগে বুঝতে পারি,
তুমি আসছো

তুমি যাওয়ার আগে বুঝতে পারি,
এবার বলবে, আসি

শুধু বুঝি না মাঝের সময়টা-
তখন আমি কোথায় থাকি?

Subscribe to উপপত্র