Skip to main content

দ্বন্দ্ব

রাস্তাটা নিজের হাতে দু'টুকরো করে কাটলে
  এখন নিজেকে দু'টুকরো করবে কিনা ভাবছ
চেনা রাস্তার একঘেয়েমিতে ঘরের ভিত নাড়লে
  একই গুটি সাজিয়ে বসে
     নিজেকে নিজেরই প্রতিপক্ষ করছ

কত?

কত স্মৃতির বিন্দু জমে জমে ধ্রুবতারা হয়?
কত ব্যাথা উদাসীনতায় ঘুমিয়ে একতারা হয়?
কত রাত জাগা অভিমানে শিউলিবৃন্ত লালাভ হয়?
কত একা থাকলে রক্তনদীর গভীরতা মাপা যায়?
কত চেষ্টার পর ব্যর্থতাকে প্রদীপের শিখা করা যায়?

কাদের দোষে?

কাদের দোষে? কারা দায়ী? কার গাফিলতি? কোন দল?

ভাঙাপুলের নীচে এ আওয়াজ যায় না

অর্ধমৃত শরীর আগলে, গলা বাড়িয়ে
             চাইছে জল, শুধুই জল
                     আর ওঠার বল

চাঁদ

আমাদের আকাশে যে চাঁদ
   তোমার আকাশেও কি সে?

সেই, তবু সে নয়

আমরা দেখি চাঁদকে
তোমার চাঁদ নিজেই ধরা দেয়


(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

হ্যাঁ শুধু আমারই জন্য

আমি সব কাজগুলো সেরে আসব
তোমার ঘুম পেলে ঘুমিয়ে পোড়ো
তোমার ঘুমন্ত চোখের পাতার
    প্রতিটা রশ্মি জেগে থাকে আমার জন্য

হ্যাঁ শুধু আমারই জন্য

দুটো ধর্ম আছে

দুটো ধর্ম আছে
ক্ষমতার ধর্ম আর ভালোবাসার ধর্ম
মাঝে মাঝে অদল বদল হয়ে যায়
      মুখ পোশাক চিহ্ন
গুলিয়ে ফেলা কোনো ধর্ম না
  গুলিয়ে ফেলাই অধর্ম

জানতাম চুরি করবেই তুমি

জানতাম চুরি করবেই তুমি
    তবু দরজায় খিল দিইনি
সোজা রাস্তা থেকে বাঁকা রাস্তাই
                 যে পছন্দ তোমার

সেকি বুঝেও বুঝিনি!

বসন্ত উৎসব

সবুজের বুকে লালের বর্ণমালা
রঙে ভিজে গেল তৃষ্ণার্তদুটো চোখ
তোমার সাধনা দেখার মধ্যে-
      অদেখাকে খুঁজে ফেরা
না হয় ছুঁয়েই তোমায়
   আমার চোখের নতুন জন্ম হোক


(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

আচমকা

হঠাৎ করেই কি ছেদ পড়ল?
হ্যাঁচকা টান লাগল বুকের পাঁজরে?
আলোর পর্দা সরিয়ে
     অন্ধকার কড়া নেড়ে গেল দরজায়?

এমনি হয়
যে দিকের আকাশে আশঙ্কা করেছিলে সিঁদুরে মেঘ,
সে মেঘ জমে থাকে অন্য আকাশে অলক্ষ্যে


(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

 

সারাটা রাত

সারাটা রাত
তুমি এলে না, ঘুমও এলো না

মন তোমার ঘরের দাওয়ায়
        দাবার গুটি সাজিয়ে বসল
নিজের সাথেই নিজের কতবার
           চেকমেট হল

Subscribe to উপপত্র