Skip to main content

কাজল মেঘভেজা অন্ধকারে কি হারালে

কাজল মেঘভেজা অন্ধকারে কি হারালে?
              রুমাল?
রুমাল হারিয়ো না
  রুমালের ভাঁজে অনেক হারানো গল্পের বাসা
        দীঘির গভীর কালো জল ছুঁয়ে দিলেই
    মনের মধ্যে এক হাঁটুজল কান্না

কিছু পথ

কিছু পথ
পথিকের অপেক্ষা করে না
সে আত্মস্থ, ধ্যানমগ্ন চিরকাল
ভূলোকের আলপনায়
পথিক সার্থক, যদি সে নিজেকে খুঁজে পায়
গন্তব্যে না, সে পথের অন্তহীনতায়

(ছবিঃ দেবাশীষ দেব)

ঝিঁঝিঁর ডাক

ঝিঁঝিঁর ডাক
    পথের সাথে আলাপ
যে গেল সে কি ফিরবে?
    না বিষন্ন আকাশে থাকবে
       গোধূলির বিষাদ প্রলাপ

(ছবিঃ দেবাশিষ বোস)

হত নিজের সঙ্গে দেখা

তাঁর মুখোমুখি সিটটা সব সময়েই ফাঁকা
যখনই চাও বসতে পারো,
    হলেই না হয় কিছুটা সময় তাঁর সঙ্গে একা
  আর কিছু না
         তেমন কিছু না
                হত নিজের সঙ্গে দেখা

আদিগন্ত আকাশ

আদিগন্ত আকাশ বুকে টোকা দিল,
বলল, বাইরে এসো।
বাইরে এসেই মিলিয়ে যেতে লাগলাম,
লীন হতে হতে বুঝলাম-
প্রসন্নতার রঙ নীল

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

শরীরাধীনতা

গভীর রাতে স্মার্টফোনে অবৈধ ডাক
ঘুমের অভিনয়ে রপ্ত করা চিচিংফাঁক
শরীরের পাশে শুয়ে অদেখা শরীর
ঘামের গন্ধ নেই তবু বেইমানি শিরশির

যেখানে শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ে

যেখানে শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ে
    অনাঘ্রাত গন্ধ ছড়ায় বাতাসে
ঘুমন্ত প্রজাপতির ডানার
    আলপনা আঁকে আকাশে

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

তবু সাগরতীরে এসে দাঁড়াও

তবু সাগরতীরে এসে দাঁড়াও
  দু'হাত প্রসারিত করো
   দেখো, এখনো দিগন্ত আলিঙ্গনে ধরা দেয়
   নোনা বাতাস পরম স্নেহে
       চোখের নোনা জল মিলিয়ে নেয়

 

রাস্তা থেকে না সরে দাঁড়ালে

রাস্তা থেকে না সরে দাঁড়ালে
     সময়ের পথে
         মাইলস্টোন হয়ে থাকবে
যে যাওয়ার সে যায়-ই
  স্রোতের বাধা তৈরী করলে
         তোমাতে ঠেকে
     শুধু নতুন একটা বাঁকের জন্ম হবে

 

যেন কিছুই হয়নি

যেন কিছুই হয়নি
   এমন অনায়াসে হেঁটে গেলে
এই অনায়াস কত আয়াসের ফল!
                        তুমিই জানো
শুধু দেখলাম, নিজেকে লুকিয়ে
            নিজেকেই ছিঁড়ে নিলে

 

Subscribe to উপপত্র