উপপত্র

বন্ধ জানলায় জমা প্রাচীন অন্ধকার
    অপেক্ষার বালিঘড়ি
       বুকের ভিতর বাসা
              তীর্থের কাক

ভালোবাসতে নিয়ম লাগে নাকি?
               অনুমতি?
ফুলদানির ফুলের পরিচর্যা লাগে
          শৌখিন বাগানেরও লাগে

ঘন জঙ্গলের মধ্যে ফোটা ফুলের যত্ন লাগে নাকি?

কিছু সময় থেমে থাকে
    থেমেই থাকে

কিছু কথা ফুরোয় না কিছুতেই
    বলার পরেও বলার তাগিদ
      নতুন কুঁড়ির মত জেগে ওঠে

কিছু মুহুর্ত মেলায় না কোনো সূর্যাস্তে
     প্রতিটা শ্বাসেই ফেরার চাবি থাকে

 (ছবিঃ দেবাশীষ বোস)

যার শুনেছি জগতখানা, তাঁর এত নেই জোরাজুরি
তাঁর যত সব চ্যালা চামুন্ডা, তাদেরই দেখি তাড়াতাড়ি
যে কোনো ভাবেই মানাতে হবে, শেখাতে হবে 'জি হুজুরী'
কার ভাবে কে পূজা চায় রে, সবই দেখি দেখনদারি!

ঘাতে প্রতিঘাতে
   তোমার মুখেতে তাকানো
চলতে ফিরতে
   বারেবারে মন ফেরানো
তোমার নামেতে
   মরমেতে দীপ জ্বালানো
বিনা অভিযোগে
   পায়ে পায়ে পথ এগোনো

(ছবিঃ সমীরন নন্দী)

কোনো মিল নেই
   তবু মিল তো আছেই
না হলে সব বসন্তে একই ফুল
        নতুন হয়ে আসে কি করে?

সব মৃত্যুই পরিচিত করে কেন
         অপরিচিতকেও

চুপচাপ দূরে
   একটু দূরে
স্মৃতিতে ঝাপসা
    তবু ছুঁয়ে থাকা
        চিনচিনে ব্যথা
           নীরব আস্থা

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

বুকের মধ্যে কুলকুল শব্দ
   অর্থ নেই, গতি আছে
জিজ্ঞাসা নেই,
      সুর আছে, ছন্দ আছে
আর আছে স্মৃতির পাথরে পাথরে
            শ্যাওলা জমা অভিমান
বুকের মধ্যে স্রোতের প্রশান্তি
  শীতল জলে ভাসা কয়েক টুকরো সময়ের নুড়ি

এই তো জীবন। বেশ আছি।

সাড়া দিয়েছি
    অধিকার দিই নি

সময়ের স্রোতে ক্ষনিকের কাছে আসা
   হাওয়াতে ভাসা তুলোর অঙ্গীকার

 হয়তো ভুল ছিল সময়
   না হলে দেখো –
সেই রাস্তা, সেই সাঁকো, সেই বনানী
    কিছু তো পাল্টায়নি
পাল্টেছি শুধু আমরা
   অপেক্ষাকে অভ্যেস করে বাঁচতে শিখেছি
তবু মনের কথা লুকিয়ে পড়তে পারে
   কিছু পুরোনো ইঁট
      আর ভিজে অবকাশে জমে থাকা কিছু শ্যাওলা